সোহেল রানা :: কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছাটমল্লিকবেগ গ্রামে স্ত্রী’র স্বীকৃতি দাবী নিয়ে অনশনে রয়েছে এক প্রেমিকা নারী। হয় স্বামীর অধিকার,না হয় মৃত্যু! দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থেকে স্ত্রী হয়েছি। এখন
কেনো অধিকার দিবেনা। অধিকার না পেলে মৃত্যু ছাড়া আমার যাবার আর কোনো রাস্তা খোলা নেই । এখানে আসার পর আমার শশুর বাড়ির লোকজন আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে বাসা থেকে বের করে দিয়ে মুল গেটে তালাবদ্বো করে রেখেছে।
আমি মরে গেলেও এখান থেকে চলে যাবোনা। এসব কথা বলছিলেন অনশনকারি স্ত্রীর দাবীতে কহিনুর বেগম। স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে শনিবার দুপুর থেকে অনশন করেছে ওই প্রেমিকা।জানা গেছে, আঃ রহমান (২৫) উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের ছাটমল্লিকবেগ গ্রামের তয়জন আলীর ছেলে।
প্রেমিকা রাজারহাট উপজেলার মেকুরটারী গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে কহিনুর (২০) দীর্ঘদিন থেকে তাদের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক জায়েজ করতে গত ২৩-০২-২০২০ ইং কাজীর মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের কয়েকদিন পর রহমান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে চাকুরীতে যোগদান করার পর খোঁজখবর ও স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন।
কহিনুর বেগম জানান, রহমান আমার আপন মামাতো ভাই। আত্মীয়তার সুবাদে বাসায় যাতায়ত।
লেখাপড়া চলাকালীন অবস্থায় দূ’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সেটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি। রহমান আমাকে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছে। আমার কাছে প্রমাণ স্বরূপ নিকাহনামা রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়,
রহমান সারাদিন বাসায় ছিল।এই মেয়েটি এখানে আসার সাথে সাথে রহমান গা ঢাকা দিয়েছে।স্থানীয়রা আরো জানান,দুপুর থেকে রহমানের বাসার সামনে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে কহিনুর বেগম নামের একজন মেয়ে অবস্থান নিলে উৎসুক এলাকাবাসী দেখার জন্য ভিড় করে।
রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার, দৈনিক ৭১ বাংলা কে জানান, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ হয়নি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।