🔴এম এ এইচ শাহীন::পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা পেয়েছি এক অনবদ্য পরিচয় । স্বাধীনতার দীপ্ত শ্লোগানে মুখরিত সেই মহান বিজয়ের মাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সেইসব অকুতোভয় বীর সেনানী আর সম্ভ্রমহারা মা, বোনদের যাদের অদম্য।
সাহস আর আত্নত্যাগের সোপান বয়ে বিজয়ের কেতন এসেছে। মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরনীয় দিন। এই দিনে ‘দৈনিক ৭১বাংলা’ পরিবারের’ পক্ষ থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।বাংলাদেশে বিশেষ দিন হিসেবে
এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র পালন করা হয়। প্রতি বছর ২৬শে মার্চ বাংলাদেশে দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়।সরকারী প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারীভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১
সালের ১৬ইডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ।
বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী।এ কুচকাওয়াজ দেখার জন্য সেখানে প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন।
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।