স্টাফ রিপোর্টার :
অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক শিশু রোগীকে পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর পিতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও যশোর জেলা সিভিল সার্জনের কাছে মঙ্গলবার সকালে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হয়রানির শিকার উপজেলার জাফরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুর পিতা মো: আল আমিন জানান, তার ৩৭ দিন বয়সী কন্যা সন্তান মোছা: আয়াত জ¦রে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে দুই দিন আগে গত সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে নিয়ে আসেন। আউটডোরে তখন চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন। তিনি আয়াত কে দেখার পর বুকের একটি এক্সরে করার জন্য পরামর্শ দেন। ডাক্তার রিপোর্টটি স্থানীয় পালস অথবা লাইফ কেয়ার ডায়াগস্টিক সেন্টার থেকে করাতে বলেন। রোগীর অভিভাবক ওই এক্সরেটি সেখান থেকে না করিয়ে স্থানীয় ল্যাবওয়েভ ডায়াগস্টিক সেন্টার থেকে করান। ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন ওই রিপোর্ট দেখে রাগান্নিত হয়ে বলেন,“ রিপোর্টটি যেখান থেকে করাতে বলেছিলাম সেখান থেকে না করিয়ে আপনি অন্য স্থান থেকে কেনো করেছে ? এ রিপোর্টে ভুল আছে। যান যেখানের কথা বলেছি রিপোর্টটি সেই স্থান থেকে আবার করে নিয়ে আসেন।”এ ঘটনায় রোগীর পিতা আলামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সামনে শিশুর পিতাকে থাপ্পড় মারতে যায় এবং নানা রকম হুমকি মূলক কথা বলেন। যদি ডায়াগস্টিক সেন্টারের কোন সমস্যা থাকে, তো কেন সেটার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা সাধারণ রোগীরা তাহলে কোথায় যাব। কিভাবে বুঝবো কে সঠিক কে ভুল ।আমাদের রোগীদের হয়রানির শেষ কোথায়।
ল্যাবওয়েভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক মো: সুজন বলেন, আমার রিপোর্ট সঠিক আছে। কোন প্রকারের ভুল নেই।
ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন থাপ্পড় মারার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি রোগীকে পরীক্ষার জন্য কোনো ডায়াগস্টিকের নাম বলিনি। রোগীর জন্য যে রিপোর্টটি করানো হয়েছে তাতে ভুল আছে। এ কারনে তাকে আবার রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান রোগীকে ধমক দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে এম আবু নওশাদ বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, আমি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ