কালিগঞ্জের পল্লীতে আখক্ষেতে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জের পল্লীতে আখক্ষেতে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুর রহমান (৩৫) সে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম দায়ের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় তবে বাড়ির বিদ্যুতের মিটারের মেন সুইচ বন্দ না করে আখক্ষেতে শিয়াল মারার ফাঁত পাততে যায় আব্দুর রহমান। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসায় বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। রবিবার বেলা ৯ টায় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
কালিগঞ্জে দ্বৈত নাগরিক আ’লীগের নেতার দাপটে অতিষ্ট ভাইবৌসহ তার স্বজনরা
কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দ্বৈত নাগরিক শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সরকারের দাপটে অতিষ্ট বৃদ্ধা মাসহ ভাইবৌ, ভাইজি। প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও থেমে নেই ঐ অসৎ ও পরিসম্পদ লোভী স্কুল শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সরদারের লোলুপতা। সে উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের সন্তোষ সরদারের ছেলে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, অতি চালাক ও ধুরন্ধর নারায়ণ চন্দ্র সরদার ১৯৯২ সালের ১৭ ই মার্চ উপজেলার বড়শিমলা কারবালা হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগদান করেণ। অথচ তখনও তিনি ভারতের নাগরিক ছিলেন। এই দ্বৈত নাগরিক তার প্রয়াত ভাই স্কুল শিক্ষক গোলক চন্দ্র সরদারের প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা, ভিটাবাড়ির আমসহ বিভিন্ন ফসলের বিক্রিত প্রায় ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে বৃদ্ধা মাতা আরতি সরদারসহ ভাইবৌ লিপি সরদারকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া তিনি নিয়োগ বিধি, দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সংবিধান অমান্য করে তথ্য গোপন করে চাকুরীর বেতন ভাতাদী উত্তোলনসহ দুই বাংলার সুযোগ সুবিধা নিয়েই চলেছে। তার নিজের অংশের সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে গাড়ী বাড়ি করে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই আছেন। স্কুলে চাকুরীর সুবাদে শুধুমাত্র তিনি বাংলাদেশে আছেন, বর্তমানে তার প্রয়াত ভাইয়ের জমি জবরদখল ও বিক্রির পায়তারা করে চলেছে। নির্ভরশীল সুত্রে প্রকাশ নারায়ন চন্দ্র সরদার স্ত্রী, কন্যা ও তার বোন ভারতের ২৪ পরগোনার বসিরহাটের খোলাপোতার রামনারায়নপুরে বসবাস করছে। তিনিও সময়ে অসময়ে ছুটি না নিয়েও দীর্ঘদিন যাতায়াত করে আসছিলো। আ’লীগের নেতা পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে স্কুলে ঠিকঠাক উপস্থিত হতো না। দেশে থাকলেও দলের মিছিল মিঠিংয়ে সময় দিয়ে নেতাবনে যান এই নারায়ণ চন্দ্র সরদার। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে প্রয়াত স্কুল শিক্ষক গোলক চন্দ সরদারের স্ত্রী আরতি সরদার ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলাউদ্দিন সহ বিভিন্ন সচেতন ব্যাক্তি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে আসছেন। তবুও অজ্ঞাত শক্তির জোরে বিগত সরকারের আমলে তিনি পারপেয়ে গেছেন বলে দাবী করেন অনেকে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম নাঈম এর পরিষদে বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও আলোর মুখ দেখেনি ভুক্তভোগী পরিবার। উপরন্তু অপমান আর ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে আরতিসহ পরিবারের সদস্যরা। এব্যাপরে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্যা আলেয়া খাতুন, ভাড়াশিমলা কৃষি ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সবুর বিশ্বাস, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের সহ মনিন্দ্র হাজরা ও কমল সরদাররা জানান, নারায়ণ চন্দ্র মুলত ভারতীয় নাগরিক, তার সেখানে ভোটার নং ১৩৭, বাড়ি নং ০২৯৯, ওয়েস্ট বেঙ্গল ৭৪৩৪২৮। মেয়ে প্রিয়াঙ্কা সরদারের ভোটার নং ১৩১, মা আরতি সরদারের ভোটার নং ৫৮৩, স্ত্রী সুপ্রিয়া সরদারের ভোটার নং ৫৮২। । চাকুরির সুবাদের তিনিই শুধু এদেশে আছে। তাছাড়া তার ভাই প্রয়াত গোলক চন্দ্র সরদারের প্রদেয় লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও জমি দখল করে বিক্রির পায়তারা চালাচ্ছে। এক্ষনে সকলের দাবী ছোট ভাইবৌ আরতি সরদারসহ তার দুই সন্তানের সম্পত্তি যথাযথভাবে পায় ও ভারতে নিয়ে যাওয়া গোলক চন্দ্রের প্রদেয় টাকা ফেরত পায় তার জন্যে পুলিশ ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। অপরদিকে অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র সরকারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্যে তার ব্যবহৃত ০১৯১৪ ৭১৭ ৪৫০ নম্বরে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।