ভাতের পরই বাংলাদেশে যে খাদ্যটির চাহিদা বেশি, সেটি হচ্ছে আটা বা ময়দা, আর আটা বা ময়দা আসে গম থেকে। দেশের মানুষের সকালের নাস্তার একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকে গমের আটা বা ময়দার পরোটা। নওগাঁর পোরশায় কৃষি জমিতে রেকর্ড পরিমাণে গমের আবাদ হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া চাষিরা আবারও গমের আবাদ শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে চলতি বছরে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ গম চাষবাদ হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস। পোরশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গমের চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমি। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গমে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয়। সেচ ও সার কম লা‌গে তাই উৎপাদন ব্যয়ও কম। আবাহাওয়া অনুকূলে থাকলে সঠিক পরিচর্যায় প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৭ মণ পর্যন্ত গম উৎপাদিত হয়। এবার বড় পরিসরে গম আবাদ করা হয়েছে নওগাঁর পোরশায়। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর গমের আবাদ বেশি হয়েছে। গম চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো তাও ছাড়িয়ে গেছে। আমরা প্রতিনয়িত মাঠে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর কৃষকরা গমের ভাল ফলন পাবেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ