ভবদহ অঞ্চলকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপ কামনাই জেলা প্রশাসক, যশোর বরাবর ষ্মারক

আমরা গভীর ক্ষোভ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বিগত সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ঠিকাদার ও ঘের মালিক সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রে ভবদহ ¯øুইচ গেট থেকে ৬০ কিলোমিটার নদী হত্যা করা হয়েছে। ফলে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বারোয়াড়িয়া মোহনা পর্যন্ত যশোর-খুলনা-সাতক্ষীরা জেলাধীন নদী অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার জনপদের চার শতাধিক গ্রাম, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, বাড়িঘর, আবাদ ফসল স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হতে চলেছে। পরিতাপের বিষয় হলো- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিছিল ও স্মারকলিপির মাধ্যমে অনুরোধ-উপরোধ জানানো হলেও তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে এই জনপদকে মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।
গত ২৬ মে ২০২৩ ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ নদী পরিদর্শনকালে সেই ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। তা হলো- ভবদহ ¯øুইচ গেটের ২১ ভেন্টে ৫০ মিটার সামনে নদীর মাঝে গভীরতা ৩ ফুট, ১০০ মিটার সামনে ৪ ফুট, ৯ ভেন্টের সামনে ৩ ফুট, দোহাকোলায় ২ ফুট, নদীর প্রশস্ততা ১২ ফুট, শোলগাতিয়া ব্রিজে ১ ফুট নদীর প্রশস্ততা ২০ ফুট, খর্ণিয়া ব্রিজে ২.৫ ফুট, নদীর প্রশস্ততা ব্রিজের নিচে ৪৮ ফুট, গ্যাংরাইল নদীর উপর শিবনগর ব্রিজে নদীর প্রশস্ততা ৪৮ ফুট, সেখানে গভীরতা ৫ ফুট। বারোয়াড়িয়া ৪ নদীর মোহনায় ভাটির সময় ধু-ধু চর জেগে ওঠে। মানুষ নদীর মাঝে সুন্দরবন থেকে ভেসে আসা কাঠ কুড়াতে যায়। এক সময় যে মোহনায় ছিল অতল গভীরতা। ৭ বছর আগে আমরা ওখানের গভীরভাবে দেখেছি ২০০ ফুটের মত। বারোয়াড়িয়া মোহনায় ৪টি নদী একটি ভদ্রা গেছে রূপসায়, হাবরখানা নদী গেছে শিবসায়, জিরাবুনিয়া নদী কপোতাক্ষ হয়ে মিলিত হয়েছে শিবসায়, যেটির সংযোগ স্থান বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অপরটি গ্যাংরাইল নদী ভবদহ অঞ্চল থেকে মোহনায় মিশেছে। গ্যাংরাইল মোহনার মিলনস্থলে ভাটির সময় পানি থাকে ৬/৭ ফুট। সৃষ্ট পরিস্থিতির অবসান না হলে রূপসা-শিবসা নদী ও মোংলা পোর্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চলে যাবে।
অপরদিকে, ভবদহ ¯øুইচ গেট থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী গর্ভে ৫টি সরকারি আবাসন প্রকল্প, ২৪/২৫টি ইটভাটাসহ নানা ধরনের স্থাপনা সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্থাপন করা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড রহস্যজনক কারণে নিরব থেকেছে। জেলা প্রশাসকগণ নদী রক্ষা কমিশনের সভাপতি, নদী সম্পদ রক্ষা ও নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিআইডবিøউটিএ’র নীতিমালার মান্যতা দেখার দায়িত্বে থাকলেও রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করছেন। যা সরকার গৃহিত নীতিমালার পরিপন্থি। কোন ক্ষেত্রেই সরকার গৃহিত নদী তট আইন মানা হচ্ছে না। বিগত সরকারের ‘নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এই ঘোষণা এই জনপদের মানুষের কাছে তামাশায় রূপান্তরিত করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। এখন ভবদহ ¯øুইচ গেট উপচিয়ে পানি ভেতরে ঢুকছে। বিল, কৃষি জমি, বসতবাড়িসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জনগণের মতামত উপক্ষে করে দুর্বৃত্ত সিন্ডিকেটের স্বার্থে গৃহিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান সেচ প্রকল্প যে ব্যর্থ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়- তা প্রমাণিত হয়েছে।

আপনি অবহিত আছেন যে, ভবদহ জনপদের পানিবন্দি মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৯৮ সালে সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকার আয়োজিত এক কনভেনশনে নীতিগতভাবে পর্যায়ক্রমের বিলগুলোতে টি.আর.এম প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০২ সালে বিল কেদারিয়ায় এবং পরবর্তী বিল হিসাবে ২০০৬ সালে বিল খুকশিয়ায় টি.আর.এম এর সফলতায় স্রোতের ভরবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রæত নদীগর্ভের পলি কেটে কাট পয়েন্ট থেকে নদী ২৫/৩০ ফুট গভীর ও মোহনা সচল হয়েছিল। সরকার পরবর্তী নির্ধারিত বিল কপালিয়ায় টি.আর.এম কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
দুঃখজনক হলো- সরকারি দলের একাংশ সশস্ত্র সন্ত্রাসী চক্রের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সশস্ত্র আক্রমণে ২০১২ সালে হুইপ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আহত হন এবং সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে টি.আর.এম প্রকল্প বাতিল করে দেয়। ফলে ওই চক্র ও সিন্ডিকেট স্থায়ী লুটপাটের সরকারি মদদ পেয়ে বসে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়োগকৃত ও.ড.গ কর্তৃক ব্যাপক জরিপ ও জনমত যাচাই করে প্রস্তাবিত বিল কপালিয়া ও পর্যায়ক্রমে বিলে বিলে টি.আর.এম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ এ ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ রয়েছে। যা নি¤œরূপ :- চধমব ঘড়- ৩০১ পৃষ্ঠায়- “তবে কেজেডিআরপি এলাকার উত্তর পশ্চিমাংশের অন্তর্ভুক্ত (মূলত:ভবদহ) মণিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলায় ২০০৫ সালের অক্টোবর হতে ২০০৬ এর শেষ পর্যন্ত তীব্র নিষ্কাশন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জোয়ার-ভাটা নদী ব্যবস্থাপনা/ জোয়ারাধার (টিআরএম) অববাহিকার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে হরি নদীতে ব্যাপকহারে পলি সঞ্চয়ন হয়। মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ফেব্রæয়ারি হতে এপ্রিলের মধ্যে হরি-তেলিগাতি নদীতে প্রায় ১২ লাখ টন হারে পলি জমা হয়। এ থেকে ধারণা করা যায় যে, টিআরএম কার্যক্রমের অনুপস্থিতিতে নদীসমূহে ব্যাপকহারে পলি জমার ফলে নিষ্কাশন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ২০০৫-২০০৬ সালে ভবদহ এলাকার পরিলক্ষিত তীব্র জলাবদ্ধতা, কৃষি ফলন হ্রাস এবং সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতির অবনতির সমস্যা সমাধান করতে প্রয়োজন টিআরএম দ্বারা টেকসই পলি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ। নিষ্কাশন ক্ষমতা বজায় রাখতে ও পলি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ৪০ বছর ধরে এই ৬টি বিল টিআরএম অববাহিকার কাজ করবে। হরি নদীতে পর্যায়ক্রমে জোয়ারাধার অববাহিকার ক্রিয়াকলাপ প্রস্তাব করার পেছনে কারণ হলো, বিদ্যমান ৬টি বিল প্রয়োজনীয় পরিমাণ জোয়ার-ভাটার প্রবাহ (টাইডাল প্রিজম) সৃষ্টি করতে সক্ষম। একইভাবে ভদ্রা নদীর উদ্ধাংশে, গ্যাংরাইল ও হামকুড়া নদীর যথাক্রমে ৪টি, ৫টি ও ৫টি বিল জোয়ারাধার হিসেবে ব্যবহার করে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ক্ষমতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।” কিন্তু সরকার ঘোষিত উপরোক্ত সুপারিশ অস্বীকার করে টি.আর.এম প্রকল্প বাতিল করে। এভাবেই ঘোষিত নীতিগত অবস্থান বিগত সরকারের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট বানচাল করে।
পুনরায় নিরঙ্কুশ জনমতের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ১৬ই মার্চ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রীসহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এবং ও.ড.গ কর্তৃক ব্যাপক জরিপ ও জনমত যাচাই করে প্রস্তাবিত বিল কপালিয়া ও পর্যায়ক্রমে বিলে বিলে টি.আর.এম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা ডেল্টা প্লান ২১০০ এর সুপারিশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। দুঃখজনক হলো- ২০১৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে দুর্নীতি সিন্ডিকেট চক্রের হোতা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার সেচ প্রকল্প প্রণয়নের নির্দেশ দেয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহযোগে সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সেচ প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও নদী হত্যার স্থায়ী ব্যবস্থা করে সিন্ডিকেটের লুটপাট নিশ্চিত করেছে। ফলে এই মহাবিপর্যয়ের পরিস্থিতি উদ্ভুত হয়েছে।
বর্তমান বাস্তবতায় ডেল্টা প্লান-২১০০ ও ও.ড.গ এর সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাতে করে মোহনা ও ভবদহ ¯øুইচ গেট থেকে মোহনা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী নাব্যতা ফিরে পাবে। প্রশস্থতা ও গভীরতা নিশ্চিত হবে এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হবে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকার জনপদ রক্ষা পাবে।

আমরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে, দীর্ঘদিন উজানে মাথাভাঙ্গা-ভৈরবের নদী সংযোগের দাবিতে আন্দোলনের ভেতর দিয়ে উজানে মাথাভাঙ্গা-ভৈরব সংযোগ প্রকল্প প্রণয়নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও.ড.গ কে দায়িত্ব দেয়। ও.ড.গ সরেজমিনে জরিপ করে ভৈরব-মাথাভাঙ্গা নদী সংযোগ প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে- যা প্রক্রিয়াধীন। যা বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নদীসমূহে নাব্যতার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। ভৈরব নদ অববাহিকার নদীসমূহের পুনর্জাগরণ ঘটবে। জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, নদীতে পলি ভরাটের সমস্যা, ভবদহ অঞ্চলের মুক্তেশ্বরি-হরি-টেকা-গ্যাংরাইল, কপোতাক্ষ-বেতনা-হরিহর-ভদ্রাসহ সকল নদী ও খাল সচল হবে। সুন্দরবনের মিঠাপানির সংকট সমাধান হবে। ফলে ভবদহ ¯øুইচ গেট থেকে ৬০ কিলোমিটার নদী ও মোহনা সচল রাখা বিপর্যয় মোকাবেলায় জরুরি কর্তব্য হিসাবে সামনে আসছে।
জলাবদ্ধ মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভবদহের উজানে যশোর সদরের বিলসমূহের পানির চাপ কমাতে অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা খাল সংস্কারের দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ড মেনে নেয়। এবং একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জনগণকে অবহিত করলেও ঘের রক্ষার সাথে জড়িত মহলবিশেষের স্বার্থে তা বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রামে পানি উঠছে ও মাঠের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় আমাদের দাবি-
১) এই মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে নদী, পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র ও জনপদকে রক্ষার জন্য দ্রæত বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টি.আর.এম) ও পর্যায়ক্রমে বিলগুলিতে টি.আর.এম চালু এবং উজানে মাথাভাঙ্গা-ভৈরব নদী সংযোগের প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে ;
২) পানিসম্পদ মন্ত্রাণালয়ের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা ও সাবেক স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী সহযোগে সিন্ডিকেটের বিচার, সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান, জনপদের দুঃখ-দুর্দশা, নদী হত্যা ও সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ;
৩) আমডাঙ্গা খাল দ্রæত সংস্কার করতে হবে ;
৪) নদী সীমানা নির্ধারণ, নদী তট আইন বাস্তবায়ন, অবৈধভাবে নদী গর্ভে নির্মিত ইটভাটা, আবাসন প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচার ও সকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। সকল খাল উন্মুক্ত করতে হবে ;
৫) ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও দেশের অভ্যন্তরে সকল নদী-খাল সংষ্কার, নদী সম্পদ উদ্ধার, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও নদী তট আইন বাস্তবায়ন করতে হবে ;

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনি ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন। এবং আমাদের সাথে মতবিনিময়ের জন্য উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিনীত

(রনজিত বাওয়ালী)
আহŸায়ক
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি
০১৭২১-৭৫৫২৫৬
অনুলিপি :
১. প্রধান প্রকৌশলী,
পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
২. নির্বাহী প্রকৌশলী,
পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোর

বি: দ্র: আজ বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, আহŸায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য অনিল বিশ্বাস, শিব পদ, রাজু আহমেদ, তসলিম-উর-রহমান, হাচিনুর রহমান, নাজিমুদ্দিন, জিল্লুর রহমান ভিটু, শাহজান আলী, আমিনুর রহমান হিরু, পলাশ বিশ্বাস, শেখর বিশ্বাস, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ