নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করে আলোচনায় আসা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

আইন, বিচার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, The Bangladesh Law Officers order, 1972 (P.O.No.6 of 1972) এর ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগাদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে আজ সকালে আইনমন্ত্রী আনিুসল হক তার সংসদীয় এলাকা আখাউড়া-কসবায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে এমরান ভূঁইয়াকে বরখাস্তের কথা জানান।

আনিসুল হক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ৫১১ নম্বর রুমের সামনে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়। পাশাপাশি তার কক্ষে থাকা মামলার সব ফাইল সরিয়ে নেয় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

আগের দিন সোমবার এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে তিনি সই করবেন না।

তিনি বলেন, নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে। উনার বিচার স্থগিতে ১৭৬ বিশ্বনেতার বিবৃতির সঙ্গে আমি একমত। আমি মনে করি তার সম্মানহানি এবং বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষের এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিশ্বনেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।

সুত্র:যুগান্তর

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ