দিনাজপুরে এস বি এ সি ব্যাংক শাখার কর্মকর্তাদের জন্য আশীর্বাদ ঋণগ্রহীতার জন্য অভিশাপ


মোঃ জাহিদ হোসেন,, দিনাজপুর প্রতিনিধি
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ দিনাজপুর শাখা কর্মকর্তাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনলেও কিছু গ্রাহকের জন্য হয়ে উঠেছে অভিশাপ।
ব্যাংক ঋনের দায়ে কেউবা ব্যবসা -বানিজ্য সহায় সম্পত্তি এমনকি মাথা গোঁজবার ঠাঁইটুকুও হারিয়ে নিঃস্ব সর্বোশান্ত,কেউবা এক বোঝা ঋনের দায়ে মামলা নিয়ে দিনাজপুর ছাড়া ,কেউ বা আবার এক গাদা ঋনের বোঝা নিয়ে কোট কাছারি করতেই ব্যবসা উঠতে বসে লাটে।
অন্যদিকে ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা রিকোভারি,ব্যাংক ঋণের দায় থেকে মুক্ত করতে ব্যাংকের শাখা প্রধানের কিছু অতীব শুভাকাঙ্ক্ষীর মাধ্যমে ব্যাংক লোনের টাকা পরিশোধ ও ব্যাংকের বন্ধকী সম্পদ উদ্ধার করেন।যা পরবর্তীতে ঋন গ্রহীতার উক্ত সম্পদের মালিক হন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ চারজন।
অনুসন্ধানীতে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় দিনাজপুর সদরের ছোট গুরগোল্লা এলাকার বাসিন্দা হারুন উর রশিদ সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ দিনাজপুর দক্ষিণ মুন্সিপাড়া শাখা থেকে সম্পত্তি বন্ধকদ দিয়ে ঋন গ্রহন করে।ঋন গ্রহনের পর নিয়মিতভাবে প্রতি বছরের রেনুয়াল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা যায় তার ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার কারণে পরবর্তীতে নিয়মিতভাবে ব্যাংকের ঋনের টাকা পরিশোধ করতে ঠিকভাবে পারছিলন না।এমতাবস্থায় এসবিএসি ব্যাংকের দিনাজপুর শাখা প্রধানের কয়েকজন সহযোগী হারুন উর রশিদের সাথে সমন্বয় করে তার ব্যাংক লোনের সমুদয় টাকা পরিশোধ করে ব্যাংকে গচ্ছিত বাড়িসহ ফাকা জায়গা ০.৯২৪ একর জমি রিডামশন করে হারুন উর রশিদের কাছ থেকে মনজুর কাদের ০.০২৩১ একর,মোঃরবিউল আলম তুহিন ০.০২৩১একর,মোঃ আবেদআলী ০.০২৩১একর এবং এসবিএসি ব্যাংক দিনাজপুর শাখা প্রধান এটিএম নুরনবী সরকার ০.০২৩১একর সাফ কবলা দলিলমুলে রেজিষ্ট্রি নেয়। কিন্তু বর্তমানে হারন উর রশিদ মা,বাবা থাকার বাস স্থানের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে ঢাকায় মনসিকভাবে ভার সাম্যতা হারিয়ে ও বিপর্যস্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঠিক একইভাবে
মোঃ আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যবসায়ী গত ২০১৭সালে জুন মাসে এসবিএসি ব্যাংক দিনাজপুর শাখা থেকে ১কোটি ৭৫লাখ টাকা সিসি(হাইপ)লোন করে সেও ডিফোল্ডার হয়ে ২কোটি ২৯লক্ষ ৮৫হাজার টাকা ঋনের বোঝা আর মামলা নিয়ে সব হারিয়ে বাড়ি ছাড়া। দিনাজপুর শহরের বালুবাড়িতে আগা খান অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আগা খান এসবিএসি ব্যাংক দিনাজপুর শাখা থেকে গত ২৪/ ০৪ /২০১৭ ইং তারিখে ২ দশমিক ৫০ একর জমি বন্ধক দিয়ে ১২কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋন গ্রহন করে। ঋন গ্রহনের পর থেকে যথারীতি কিস্তি দিয়ে আসলেও করোনার কারনে ব্যবসায়ীক মন্দায় পরবর্তীতে আর সময় কিস্তি প্রদান করতে পারেনি বলে আগা খান অটো রইস মিলের স্বত্বাধিকারী জানায়।এছাড়াও আগা খান বলেন ব্যাংকের শাখা প্রধান এটিএম নুর নবী সরকারের অসহযোগী মনোভাবের কারনে ঋন গ্রহীতারা ঋনের দায় থেকে মুক্ত হতে পারছে না।এর পাশাপাশি ২১সালে দিনাজপুরে শাখা প্রধান হিসেবে মোঃ মাহবুবুর রহমান থাকাকালীন লোনের কিস্তি বাবদ ৩০লাখ টাকার ব্যাংক এশিয়ার একটি পে অর্ডার এপ্রিল মাসে জমা দিলেও সেটা জুন মাসে লোন একাউন্টে স্থানান্তর করে।যার ফলে তিন মাসের একটা বারতি সুদ লোনের সাথে যুক্ত হয়। এছাড়াও আমার ব্যাংকে বন্ধক দেয়া আছে ২দশমিক ৫০একর।এর বাদেও অতিরিক্ত সম্পদে করা প্লট এবং ফ্লাট বিক্রি করতে গেলে গ্রাহকদের অপব্যাখ্যা দিয়ে ভুল বুঝিয়ে পিছিয়ে দেয়।এমনকি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আমার সম্পদ ব্যাংক বন্ধক রয়েছে মর্মে নোটিশ দিয়ে রাখে।যার ফলে আমার অন্যান্য সম্পদ ও বিক্রি করতে পারছি না।অথচ ব্যাংক কর্মকর্তার একটু সহিষ্ণু মনোভাবে আমার একই দাগের অন্য সম্পদ বিক্রি করে ব্যাংকও তাদের পাওনা টাকা বুঝে নিতে পারে আমিও ব্যাংকের দায় থেকে মুক্ত হতে পারি। এছাড়া ও তিনি অভিযোগ করে বলেন যে হারুন উর রশিদ যদি স্বইচ্ছায় জমি রেজিস্ট্রি দেয় তাহলে তাকে কেন পুলিশ প্রশাসন মাস্তান দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হয়েছে।এমন কি আমার মতো ঋন গ্রহীতা আব্দুল হামিদেরও এক ডেটে টাকা জমা দিলে কিছুদিন কারেন্ট একাউন্টে রাখার পর লোন একাউন্টে স্থানান্তর করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ দিনাজপুর শাখার ভিপি (শাখা প্রধান) এটিএম নুর নবী সরকার বলেন ঋন গ্রহীতাদের আমার সম্পর্ক কেন খারাপ হবে।আমি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।উধবতন কতৃপক্ষ যে নির্দেশনা দিবে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।লোন নেওয়ার সময় আমাদের গ্রাহকদের যে ডিড অফ এগ্রিমেন্ট হয় সেই অনুযায়ী আমরা কাজ ক
রি।ব্যাংকের স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে যদি কেলল
উ গুরু বেজার হয় এতে আমার করার কি আছে? ঋন
গ্রহীতা হারুন উর রশিদের বন্ধকী সম্পত্তি তার ব্যক্তিগতভাবে কেনার এবং একাধিক সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি হারুন উর রশিদের ব্যাংকে বন্ধকী থাকা কালীন সম্পদ করেছি এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।হারুন উর রশিদ ব্যাংকের সমুদয় দেনা পাওনা পরিশো।ধ করে তার সম্পত্তি তাকে বুঝিয়ে দেবার পরেই সাব কবলে। দলিল মুলে আমরা চারজন মিলে তার জায়গাটি ক্রয় করি।আর আমি দিনাজপুরে যে সম্পদ করেছি তা সবই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোনের মাধ্যমে ।আর বছরে বৈধ পথে বছরে যে টাকা ইনকাম করি তার তুলনায় আমার বর্তমান সম্পদ যৎ সামান্য ।করো ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধা
.
রের জন্যই আমার বিরুদ্ধে এই প্রপোগান্ডা ছড়াচ্ছে । এ বিষয় ভুক্তভোগী ঋণ গ্রহিতারা ব্যাংকের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।