নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার,
জাকির হোসেন
নিয়ামতপুর (নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ
রমজানের শেষ মুহূর্তে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি লোকজন ভীড় করছে বিভিন্ন দোকানে । পছন্দের সাজ পোশাক কিনতে ঘুরছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকান।
ব্যবসায়ীরা জানান,সাধারণত মাহে রমজানের প্রথম দু’সপ্তাহ দোকানে তেমন ভিড় না থাকলেও রমজানের শেষ সপ্তাহে এসে প্রতিটি বিতণিবিতানে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা বেশি আসলেও বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও।
ছেলেদের পছন্দের শীর্ষে যেমনটি রয়েছে পাঞ্জাবি, জিনস প্যান্ট আর এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা কাট । তাই এসব পোশাক বিক্রির পরিমাণও বেশি।
উপজেলা সদরে শুক্রবার ও শনিবার বিভিন্ন বিপণিবিতান ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব দোকানে তৈরি পোশাকের মধ্যে কিশোরী ও তরুণীদের ওয়ান–পিস, থ্রি–পিস, ওড়না, ফ্রক, কোর্টি, নায়রা, মিনি স্কার্ট, আলিয়া কাট এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি–শার্ট, জিনস প্যান্ট, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রসাধনসামগ্রী বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এবার কিশোরী ও তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নায়রা কাট ও থ্রি- পিস। মানভেদে এই দুই ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায়।
প্রতিবেদকের কথা হয় নিউ কালেকশন এন্ড টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুসের সাথে।
তিনি জানান, এবার কিশোরী আর তরুণীরা নায়রা কাট, আলিয়া কাট আর থ্রি- পিস বেশি কিনছে। ছেলেরা কিনছে জিনসের প্যান্ট আর পাঞ্জাবি।
গাবতলী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর রহমান জানান, প্রতিটি নায়রা কাট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, ওয়ান–পিস ৭০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা , থ্রি-পিস ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, বড়দের পাঞ্জাবি ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ছোটদের পাঞ্জাবি ২০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
জোবায়ের ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাহবুর রহমান জানান, আমারা এবার পাঞ্জাবির নতুন নতুন কালেকশন এনেছি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। বড়দের পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা আর ছোটদের পাঞ্জাবি ৩০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পোশাকের পাশাপাশি কিশোরী ও নারীরা ভীড় করছেন কসমেটিকস সামগ্রীর দোকানে। ঈদকে ঘিরে উপজেলা সদরের সরকারি স্কুলের সামনের কসমেটিকস পট্টিকেও সাজানো হয়েছে ভিন্ন ধাঁচে। সকল বয়সের নারীরা এসব কসমেটিকস দোকানে নিজের পছন্দের কসমেটিকস সামগ্রী কিনতে ভীড় করছেন।
এছাড়াও ঈদের মূল আকর্ষন সেমাই, চিনি, পাঁপড়ের দোকানে কেনাকাটাও জমে উঠেছে। শেষ মূহুর্তে কেনাকাটা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারা।
নিয়ামতপুর বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির বলেন, সকল ব্যবসায়ীই রমজানের বেচাকেনার অপেক্ষায় থাকে। এসময় সকলেই নতুন পোশাক থেকে শুরু করে সকল কিছুই নতুন কেনার চেষ্টা করে। শেষ দিকে বেচাকেনা জমে ওঠায় ব্যবসায়ীরা খুশি।