জেলা জামায়াতের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

ওমর ফারুক খান নাটোর সংবাদদাতাঃ নাটোরের লালপুরে ওসমান গনি (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়াচিলান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশ এবং স্থানীয়রা। এই ঘটনায় নিহত ওসমান গনির ভাইয়ের ছেলে কুতুবউদ্দিন বাদী হয়ে লালপুর থানায় ২৫ জনের নাম উলেখ্য করে মামালা করে। ২৫ জন আাসামিদের মধ্যে ২৩ জনই আসামিই আওমীলিগ এর রাজনিতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন আসামিদের পক্ষ থেকে।

পুলিশ রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি শিবির নেতা মহসিন আলম সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন মোঃ মহসিন আলম(২৮) পিতা মোঃ মখলেচুর রহমান,গ্রাম পুকুর পাড়া চিলান লালপুর, আব্দুল লতিব (৫৫)পিতা মৃত নসিম গ্রাম ডাংগাপাড়া। জাকিরুল ইসলাম (৩০) পিতা আফসার, নাদিম (৩৪) পিতা নওশাদ আলী গ্রাম উপজেলার দুয়ারিয়ায়।মোঃ মখলেচুর রহমান গ্রাম (৫৫) পিতা মৃত তৈয়ব আলী সাং পুকুর পাড়া চিলান। উল্লেখ থাকে যে আসামিদের আদালতে নেওয়ার সময় প্রীজন ভ্যান থেকে শিবির নেতা মহসিন সাংবাদিকদের বলেন আমার বাবা ও আমাকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে, এমপি থেকে শুরু করে সবাই এই ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে।পুলিশ বলেছে স্যারের সাথে কথা বলে ব্যাক দিবে, কিন্তু আমাদের সাথে কথা বলায় নাই। নিহত ওসমান গনি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আখের আলীর ছেলে ও ৫নং ওয়ার্ড যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হত্যার মামলার প্রধান আসামি। ১জানুয়ারি প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে ১৪ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গনির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের সূত্র ধরেই এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। নিহত ওসমান গনির বড় ভাই আফসার আলী বলেন, সকালে বাড়ি থেকে গ্রামের দোকানে চা খেতে বের হয় ওসমান। এসময় বাড়ির অদুরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে ওসমানকে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে পায়ের ও হাতের রগ কেটে মাটিতে ফেলে রেখে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে হাঁসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় ওসমান। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু এব্যপারে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারই জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এ ব্যাপারে বলেন জামায়াত শিবির পরিকল্পিতভাবে হাত পায়ের রগ কেটে ওসমানকে হত্যা করেছে। এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ দিকে শিবির সভাপতি মহসিন আলম কে ও তার বাবা মোখলেছুর রহমান কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ আতিকুল ইসলাম জামায়াতের পক্ষ থেকে আজ ০৫-০৯/২৩ ইং তারিখে দুপুর দুইটায় প্রেস বিজ্ঞতি প্রকাশ করে।এ ঘটনায় জামায়াতের জেলা আমীর মীর নুরুল ইসলাম এক প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিপক্ষ হামলায় নিহত হন এক যুবলীগ নেতা। তাদের অভ্যন্তরিন কোন্দলের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। কিন্তু সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে ছাত্রশিবির সাবেক জেলা সভাপতি মহসিন আলম এবং তার পিতা মোখলেছুর রহমান কে আটক করেছে যা উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর শামিল।জামায়াত শিবির কখনো হত্যার রাজনিতি করেনা এবং এ ঘটনার সাথে জামায়াত শিবিরের নুন্যতম কোন সম্পর্ক নেই।এঘটনায় আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এবং অবিলম্বে মহসিন আলম এবং তার পিতা মোখলেছুর রহমান কে মুক্তি দিয়ে হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আটক করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি করছি

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ