বরিশালে চলাচলের রাস্তা বন্ধ বিপাকে একাধিক পরিবার।


এম এইচ শান্ত স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ পরিস্থিতিতে ১৪থেকে ১৫টি পরিবারের লোকজন সহজে বের হতে না পেরে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ভুগছেন। ঘটনাট ঘটে রবিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টার সময় দিকে বরিশাল সদর থানাার ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে। ভুক্তভোগী পরিবারের তাছলিমা বেগম,বিলকিস, সুলতান খানসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বসবাসস্থলের পাশে প্রতিবেশী রহিম মিয়ার বাড়ির উত্তর পাশে গহিনখাল রয়েছে। এই প্রতিবেশী গংরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বসতবাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র যাতায়াত রাস্তাটি বাশঁ ও বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এই রাস্তাটি দিয়ে দির্ঘ ৪৫/৫০ বছর ধরে চলাচল করি।ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কয়েক বার সরকারি অনুদান দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করেছি।হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে দেয় খলিল গং, যার ফলে কোমলমতি শিশুদের স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী , অসুস্থ রোগী ও কর্মজীবি মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের।তারা আরো বলেন,তাদের আত্মীয় একজন পুলিশ,পুলিশ বাড়িতে এনে পুলিশের সামনে আমাদের কাছে একলক্ষ টাকা চাদাঁ চায় খলিল। প্রতিবেশী শহিদ, রহিম, খলিল গংদের সঙ্গে রাস্তা নিয়ে বিরোধ হওয়ায় তারা আমাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এবং অখত্য ভাষায় গালি গালাস করে ও একলক্ষ টাকা চাঁদা চায়। টাকা দিলে রাস্তা দিয়ে যাইতে পারবো এমন কথা বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান। এবিষয় খলিলকে বিবাদী করে হাফিজুর রহমান ১নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,খলিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন অনুদানের কথা বলে লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।এমকি প্রকাশ্যে রাস্তার জন্য একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এবিষয় মুঠো ফোনে খলিল বলে,আমার উপর আনিতো অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এবিষয় রামপাশা কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ হাওলাদার বলেন,উভয় পক্ষ নিয়ে আমরা উঠান বৈঠকে বসেছিলাম। তবে যারা যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করেছে,তারা আমাদের কথা রাখেন নাই বরং আমাকেও অসামাজিক আচরণ করেছে খলিল।আমাদের কাছে তাদের অমানবিক লোক মনে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, খলিলের বাবা একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন, তবে খলিল দুষ্ট ও চাঁদা বাজ, সন্ত্রাসী করা তার বা হাতে লোক।আইন কানুন কিছুই মানে না।