মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
উপজেলার ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভদ্রবাজারের নাইট গার্ড কৃষ্ণকান্ত রায় ওরফে জোনাকুকে গত ২৮ জুলাই রাত্রি অনুমান ০৪টার সময় (ফজরের নামাজের পূর্বে) অজ্ঞাতনামা হত্যাকারী ধারালো অস্ত্রদ্বারা গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে যাদব চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হওয়ার ফলে ভদ্রবাজারে প্রায় ৭০ জন ব্যবসায়ী ও আশপাশের শান্তি প্রিয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৭ দিনের নিরলস প্রচেষ্টায় বিরল থানা পুলিশের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিবিড় তদন্ত ও কোন সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানীর স্বীকার না হয় সেজন্য অনেক যাচাই বাছাই শেষে অবশেষে উক্ত হত্যাকান্ডের প্রকৃত হত্যাকারী সুবাস চন্দ্র রায় ওরফে কাইচালু (৩৮)’কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে বিরল থানা পুলিশ।

হত্যাকারী কাইচালু একই ইউনিয়নের আজিমপুর (ধনেশ মেম্বারপাড়া) গ্রামের বৈদ্যনাথ রায়ের পুত্র। তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

কৃষ্ণকান্ত রায়’কে হত্যা করার জন্য প্রায় ০১ মাস পূর্বেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তৈরী করে সুবাস চন্দ্র। তার সাথে পূর্বের একাধিক বিষয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সুযোগের অপেক্ষায় থেকে ঘটনার রাতে তার আরো একজন সহযোগীকে সংগে নিয়ে এই হত্যাকান্ডটি সে সংঘটিত করে (**মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় বিরোধের বিষয় গুলি ও সহযোগী অপর আসামীর নাম এই মুহূর্তে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না**)। তবে উক্ত আসামী একজন মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও সিচকে চুরির সাথে জড়িত।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ