সাতক্ষীরা থেকে বহুল প্রচারিত ও প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত এর রমজাননগর ইউনিয়ন প্রতিনিধি, সিনিয়র সাংবাদিক মো. আক্তার হোসেন কে জড়িয়ে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্যামনগরের সুন্দরবন প্রেসক্লাবের কর্তব্যরত সাংবাদিক বৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় সুন্দরবন প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরি প্রতিবাদ সভায় এ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. বিলাল হোসেন, সহ-সভাপতি পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জি.এম মাছুম বিল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স.ম ওসমান গনী সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান, সদস্য যথাক্রমে শিক্ষক মো. তৌহিদুর রহমান লিটন, দীপক মিস্ত্রি, সোহাগ সরদার, এম. রাকিব হায়দার, রাজু আহমেদ, মো. ইয়াছিন আলম সুমন প্রমুখ। উল্লেখ্য, পত্রদূতের সিনিয়র সাংবাদিক মো. আক্তার হোসেন উপকূলের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তিনি একাধারে সুন্দরবন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন সুমিষ্টভাষী, অতিথিপরায়ণ মানুষকে জড়িয়ে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে শ্যামনগরের প্রখ্যাত চাঁদাবাজ দিয়ে মিথ্যা, মুখরোচক গল্প সাজিয়ে যে সংবাদ প্রতিনিয়ত পরিবেশন করে আসছে তা নিতান্তই দুঃখজনক। এ নিয়ে রীতিমতো শ্যামনগরের সচেতন সাংবাদিক মহল ও সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলছে।  প্রতিবাদ সভায় সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একবাক্যে সাতনদী পত্রিকার সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশে তীব্র নিন্দা, এই খবর প্রকাশের দরুণে পত্রিকার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা, সাতনদীর সকল চাঁদাবাজ সাংবাদিককে উপকূলীয় অঞ্চলে বয়কট, একই সংবাদ পুনরায় প্রকাশ হলে সাংবাদিকেরা লাগাতার কর্মসূচী ও মানববন্ধন এর ঘোষণা এবং বিশেষত, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাতনদী পত্রিকার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন প্রতিনিধি দীপক মিস্ত্রি বলেন, আমি নিজেই লজ্জিত আমার এক সহকর্মী কে জড়িয়ে আমারই কর্মস্থল, যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে। আমাদের আরেকজন প্রতিনিধি মো. আইয়ুব আলী ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাতনদী থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। আর শ্যামনগরের প্রখ্যাত চাঁদাবাজ সাংবাদিককে দিয়ে যে মিথ্যা নিউজগুলো সম্পাদক সাহেব করিয়ে থাকেন, এটি যদি চলমান থাকে তাহলে আমি এই পত্রিকা থেকে অব্যাহতি নিবো। সাতনদী পত্রিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন কারী এই সাংবাদিককে পত্রিকা থেকে বিতাড়িত করার জন্য সম্পাদক মহোদয়ের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এমন পত্রিকায় কাজ করে যদি সম্মানহানি হয়, তাহলে এমন সাংবাদিকতা করার চেয়ে না করাই শ্রেয়।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ