৯ জন ব্যক্তি ধ্বংস করছে পাতাখালীর মিনি সুন্দরবন।
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/uploads/2023/07/received_194390046667449.jpeg)
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মাপুকুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক চৌদ্দরশীর ব্রিজের পশ্চিম পাশে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের সীমান্তে আইলা পরবর্তী ২০০৯ সালের পরে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগিয়ে বন তৈরি করার জন্য উদ্যোগী হয় স্থানীয় বাসিন্দা এস এম ওবায়দুল্লাহ মুকুল, সাইফুল্লাহ, আব্দুল আহাদ সহ কয়েকজন লোক নিজেদের চাঁদার টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগায় তারা।
পরবর্তীতে কয়েকটি এনজিওর সহায়তায় বনটি বর্তমানে বৃহৎ আকার ধারণ করে,এখন প্রায় ৭০০ বিঘা নদীর চরের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে এই বন টি ”দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন প্রকৃতির দারুন দৃশ্য ” অথচ বনের ভিতরে চিত্র ভিন্ন অবাধে গাছ কেটে পুকুর তৈরি করে চলছে রেণু পোনা আহরণ তাতে যেমন গাছ আগের তুলনায় কমেছে তেমনি নতুন গাছ জন্মাতে বাধাগ্রস্থ করছে ।
নির্ভরশীল সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সরজমিন গিয়ে দেখা বনের ভিতরে ছোট বড় প্রায় তিন থেকে চারশো পুকুর কাটে রাখা রয়েছে আর নতুন করে পুকুর কাটছে প্রকাট গতিতে।আর এসব পুকুর কাটতে গেলে কাটতে হচ্ছে গাছ !
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায় স্থানীয় মোঃ আবিয়ার রহমান তিন ছেলে শাজাহান,শাহাজামল,শাহ আলম, আলাউদ্দিনের ছেলে আমিনুর রহমান,কাওছার গাইনের ছেলে মহিবুল্লাহ,সাত্তার সরদারের ছেলে মুন্নাফ সরদার,আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বাপ্পি, শাহিদা খাতুনের ছেলে তরিকুল,আবিয়ার রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বনের ভিতরে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে এমন নৈরাজ্য প্রশাসনকে অবহিত করার পরেও যেন নির্বিকার।
সংবাদ কর্মীদের উপস্থিত টের পেয়ে গাছ কর্তন কারীরা সুকৌশলে এলাকা থেকে ছিটকে পড়েন তাদের সাথে কথা বলার জন্য কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করলেও দেখা পাওয়া যায়নি তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে সাংবাদকর্মী পরিচয় দিতেয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তাদের কয়েকজন।
তবে শুধু এখানেই শেষ নয় আমাদের কাছে মনে হয়েছে রক্ষক যেন ভক্ষক মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দ্যা এডিটরস গত ১৩ জুলাই একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তার পরের দিন শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ স্থানীয় তফসিলদারকে সরজমিন গিয়ে তদন্ত করে বনের ভিতরে গাছ কর্তন কারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নোটিশ দিতে বলা হয় ”হ্যা তিনি নুটিশ দিছেন” কিন্তু ঐ অপকর্মের রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে দিছেন অভিযোগ রয়েছে ঐ স্থান যখন তদন্ত করতে যান তখন এই সেন্টিগ্রেড দের সাথে তার আর্থিক লেনদেন হয় যে কারনে নোটিশ দিছেন কিন্তু সেই নুটিশে তফসিলদারের কোন সিল স্বাক্ষর নেই ।
এবিষয়ে আবার ও শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।