বিশেষ প্রতিনিধি,কলারোয়া: কলারোয়ায় প্রধান শিক্ষককে হয়রাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬জুন) বিকেলে উপজেলার উন্নয়ন কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী। তিনি বলেন- আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর পাশের হার খুবই সন্তোষজনক। বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১৩ আগস্ট শেষ হবে। বিগত দুই বছর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অনিয়মের কারনে আমি বিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে পারি নাই। গত ১২জুন আমাকে কিছুই অবগত না করে একটি মনগড়া মিটিং করে। ওই দিন আমি বিদ্যালয়ের কাজে বিধি অনুসরণ পূর্বক যশোর শিক্ষা বোর্ডে যান। পরবর্তীতে একই মাসে ২৩জুন বিদ্যালয়ের ছুটির মধ্যে আমাকে কিছু না জানাইয়া সভাপতি তার নিজ বাড়ীতে মিটিং করে এবং বিধি-বহিভ‚ত ভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নোর্টিশ প্রদান না করে ২৩জুন মূল রেজুলেশন খাতা ছাড়া অন্য একটি রেজুলেশন বহির মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করে। যাহা তিনি কিছুই জানেন না। কি কারনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তার কোন চিঠি বা নোর্টিশ দেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন-সভাপতি ভাই ২৯ সেপ্টেম্বর-২২সাল থেকে বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত। সভাপতির একক সিদ্ধান্তে বিগত কমিটির নিয়ম ভঙ্গ করে বিদ্যালয়ের ১৮টি দোকান ঘরের ভাড়া উত্তোলন করে। যা অদ্যবধি কোন হিসাব দেয় নাই। যা হিসাব অনুযায়ি ৪লাখ ৬৫ হাজার টাকার মতো হবে। এনিয়ে একটু মনোমাল্যন্যে হয়। পরে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সভাপতি বিদ্যালয়ের আয় ও ব্যায় হিসাব চান। এক পর্যায়ে সাড়ে ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে ২লাখ ৫১হাজার ৫২০টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দিকে বলেন। পরবর্তীতে সভাপতি সাহেব আয় ও ব্যায়ের সমস্ত ভাউচার ও রেজুলেশনের মাধ্যমে জমা দিলে তিনি তা মানবেন না বলে জানায়। এর পরে ৫ মে ২৪তারিখে হঠাৎ বিদ্যালয় চলাকালে আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমার উপর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। আমি এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি ৭ধারা মামলা করি। এসব এর কারনে সভাপতি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মনগড়া একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধ ভাবে আমাকে বরখাস্ত করেছে। বিদ্যালয়ের ১২জন সদস্যর থাকলেও সভাপতি সাহেব ৩৪জন সদস্য দেখিয়ে রেজুলেশন বহিতে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বরখাস্ত করেন। যার কোন বৈধ্যতা নেই। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন-এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিস বরাবরে লিখিত ভাবে বিধি-বর্হিভ‚ত ভাবে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে মর্মে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ