অভয়নগরে সুন্দলী সৈয়দপুর ট্রাস্ট স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত


শীতের আগমনে বাহারি পিঠার সমারহ চোখে পড়ে সর্বত্য। তারই ধারাবাহিকতায় অভয়নগর সুন্দলী সৈয়দপুর ট্রাস্ট স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হল পিঠা উৎসব ২০২৫ ।
সকাল ১০ ঘটিকায় সুন্দলী সৈয়দপুর ট্রাস্ট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ এর সভাপত্তিত্বে জাতীয় সংগীতে ও রেলির মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন।
শ্রেণী অনুসারে ৭টি পিঠার স্টল বসে। সারি সারি ভাবে গ্রাম বাংলার শত রকমের পিঠা চোখে পড়ে। দর্শনার্থীরা স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে স্টল গুলোর পিঠা দেখতে থাকে। সাথে চলতে থাকে লোকজ গানের অনুষ্ঠান।
অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ জানান প্রতি বছরের ধারা বাহিকতায় আমাদের এ আয়োজন। ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে পৌষ সংক্রান্তির গুরুত্ব উপলব্দিতে আমাদের এ আয়োজন।
উৎসবের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ রকিবুল ইসলাম উপ কলেজ পরিদর্শক।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ জাকির হোসেন প্রোগ্রামার, জনাব মোঃ কামাল হোসেন সহকারী প্রকৌশলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর। জনাব মোঃশহিদুল ইসলাম।
এ ছাড়া আরোও
উপস্থিত ছিলেন :নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, অভয়নগর কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস এম খায়রুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন, নওয়াপাড়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম খান, পায়রা হাট ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম ইকবাল, শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ।
এ সময় উপস্থিত থেকে সকল স্টল ঘুরে দেখেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ও বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রায় কপিল চেয়ারম্যান সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ, বিকাশ মল্লিক সাবেক চেয়ারম্যান।
সর জমিনে স্টল গুলো ঘুরে দেখা গেলো প্রতি শেণীতে ১০ – ৩০ রকমের বাহারী শত পিঠারর সমারহ রস মালাই, পেড়া, হলুদ, পাতা,চিরুনী,বাদাম,তাল,চন্দ্র, নক্ষত্র,গোলাপ,নকশি,খেজুর,সন্দে শ,ফুলকপি,পিয়াজু,কণা,হাত,লাভ, চপ,গাছ,টুপি,ভাজা,পুতুল,চেরিফল, দেবাফুল,ঘুড়ি,চিতই,জামাই,কলসি, ডিম বিস্কুট,মুরলি সহ ভাপা পিঠা ,তেলের পিঠা,পুলি পিঠা,রস পিঠা চোখে পড়ার মত।
এ সমায়ে ছাত্রছাত্রীরা জানান এমন আয়োজনে আমরা খুব খুশি,এতে আমাদের মেধার বিকাশ ঘটবে। উৎসবের শেষে সকলের মাঝে সে পিঠা বিতরণ করা হয়। তখন স্কুল কলেজের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা বৃন্দ সার্বীক সহযোগীদায় ছিলেন।
স্কুল প্রাঙ্গন শত শত দর্শনার্থীদের উপস্থিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। পিঠা অনুষ্ঠান চলাকালিন চলতে থাকে সাংস্কৃতি পরিবেশনা,নাচ গানে মুখরিত হয় শিক্ষা প্রাঙ্গন।
মেলার যে নয়নাভিরাম দৃশ্য সবার নজর কাড়ে সেটা ছিল ঐতিহ্য প্রেমীদের পিঠা খাওয়া। এই ঐতিহ্যপ্রেমীরা তাদের সকল কাজ ফেলে রেখে মেলার মাঠে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা এদিকে দর্শনার্থীরা বলেন ব্যতিক্রমী এ মেলায় এসে খুব ভাল লাগছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হলে ভাল লাগবে।