সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মৃতপ্রায় গরু গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।গত শনিবার (১জুন) ভোর রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম ফরিদপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। আমিরুল ইসলাম মৃতপ্রায় গরুটি স্বল্পে মূল্যে ৯ হাজার ৫ টাকায় বিক্রি করেন জিরোনগাছা মোড়ের তিন মাংস বিক্রেতার নিকট ।
অভিযুক্ত ওই তিন মাংস ব্যাবসায়ী হলেন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের সহিল উদ্দীন ( সলু ) কসাইয়ের ছেলে মোজারুল ইসলাম (৩৬), কুশলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম সোহরাব সরদারের ছেলে মিলন (৩৪) ও একই গ্রামের মরহুম দেলবার সরদারের ছেলে মুনসুর আলী (৫৫)।

বিষয়টি ঐ দিন তাৎক্ষণিক জিরানগাছা মোড়ের স্থানীয় জনতাদের মাধ্যমে জানতে পেরে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাহার আলী,স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঐ গরুর মাংস জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার পাশাপাশি বিতর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেন। এসময়ে উপজেলা স্যানেটারি অফিসার আব্দুল সোহাবান ও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন আসার পূর্বে তিন মাংস ব্যবসায়ী জানতে পেরে ছিটকে পালিয়ে যায়।

কিন্তু উপজেলা প্রশাসন তিন মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠিন তৎপরতা গ্রহণ করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল হোতা অর্থ লোভী অসুস্থ মৃতপ্রায় গরু বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদ আলম এর কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,
গত শনিবার (১ জুন) ভোর ৫টার দিকে আমিরুল ইসলাম প্রায় ১৫ দিন যাবত গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত মৃতপ্রায় একটা গরু গোপনে বিক্রি করে ওই গোয়ালে জবাই করে। পরবর্তীতে গরুর মাংস বস্তা বন্দি করে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন জানতে পেরে আমাকে জানান। আমি তাৎক্ষণিক আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ ফারুক হোসেনকে ঘটনা স্থলে পাঠায় কিন্তু ততক্ষণে দুর্বৃত্তরা মাংস নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ ফারুক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি অসুস্থ গরুর মালিক আমিরুল ইসলামের কাছে শুনেছি সে অসুস্থ মৃতপ্রায় গরুটি বিক্রি করেছে।
অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম বলেন ঘটনা সঠিক কিন্তু এটা নিয়ে এতদূর গড়াবে আমি বুঝতে পারিনি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ