হাসিবুল ইসলাম,পাটগ্রাম লালমনিরহাট সংবাদ দাতাঃ
লালমনিরহাট -১ (হাতীবান্ধা পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০০১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রাথী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের হুইপ নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, বিগত দিনে তিনি নিঃস্বার্থভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছেন আগামীতে দ্বাদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয় পেলে আমার নির্বাচনী এলাকাকে আধুনিক উন্নয়নে রুপকার হিসেবে গড়ে তুলবো । তিনি আরো বলেন, বিগত সংসদ সদস্য থাকাকালিন অবস্থায় পাটগ্রাম- হাতীবান্ধায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।যেমন গ্রামগঞ্জে,রাস্তাঘাট পাকাকরন থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মাদ্রাসা এমনকি প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছায় দেওয়া হয়েছে ফলে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্ঠি হয়েছে।আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনীত হলে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন প্রবীন জেলার রাজনীতিবিদ এমপি মোতাহার হোসেন। সম্প্রতি নিজ নির্বাচনী এলাকা পাটগ্রাম – হাতীবান্ধা এলাকায় আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মিসহ সর্ব-সাধরনের  সাথে মতবিনিময়সহ গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি আরোও বলেন ২০০১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করার পর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকায় মধ্যে উল্লেখ যৌগ্য উন্নয়ন গুলো হলো পাটগ্রাম ধরলা নদীতে অবস্থিত কাউয়ামারী ব্রীজ,রাবার ড্যাম ব্রীজ,ধরলা ব্রীজ,ধবলগুড়ি ধরলা ব্রীজ,ও বহুল আলোচিত দহগ্রামে অবস্থিত বঙ্গের বাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রুপান্তর ও ৬ তালা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ,পাটগ্রাম উপজেলায় ২৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ এবং ১৪ টি কাজ চলমান।পাটগ্রাম হাতীবান্ধায় প্রায় ৬০ টিও বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ,হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীতে ব্রীজ নির্মান, এছাড়াও বহু স্কুল কলেজ , মাদরাসা,মন্দির, কার্লভাট, ব্রিজ, পাকা রাস্তা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বলে জানান। এছাড়াও বিভিন্ন খ্যাতে কোটি কোটি টাকা উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন।
মোতাহার হোসেন বলেন, আমি প্রথমে জানার চেষ্টা করেছি পাটগ্রাম হাতীবান্ধার মানুষের মৌলিক চাহিদা কী?তাদের চাহিদা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়া,দ্বিতীয় চাহিদা হচ্ছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
আমার সঙ্গে জনগনের সুসম্পর্ক কেন জানেন? আমি মানুষকে কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিই না । মিথ্যা কথা বলি না । আমার বড় পুজি হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য আমাকে যা করতে হয় তাই করবো ।
জনগনের কাজ করার পাশাপাশি আমি আমার এলাকায় দলকে সুংগঠিত করে রেখেছি। আমরা যে প্রতিনিয়ত জঙ্গিবাদের হুমকি’র মধ্যে থাকি । তা নিমূল করার জন্য দল তথা বাংলার জনগন কাজ করে যাচ্ছে।মোতাহার হোসেন হাতীবান্ধা উপজেলার বড় খাতা গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।তিনি লালমনিরহাট জেলায় আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে এলাকায় উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
এসব বিষয়ে মাথায় রেখেই তিনি দলের কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন,এবং নির্বাচনী এলাকায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে জন্য দিন রাত চেষ্টা করছেন। মোতাহার হোসেন বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে  আগামী দ্বাদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে এই আসন থেকে আবারও মনোনয় দিয়ে পাটগ্রাম হাতীবান্ধার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিবেন বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি আমার আকুল বিশ্বাস।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ