তবুও মনে পড়ে তোমাকেই
-এসকে এম হেলাল উদ্দিন মোঃ
সামিরুল ইসলামঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম, সেদিন তুমি কেবলই অচেনা মানুষ ছিলে.. তোমার প্রতি ভালো লাগা সেই প্রথম দেখা থেকেই আর তখন থেকেই কেন জানি তোমার প্রতি ভীষণ একটা টান। অজান্তেই মাঝে মাঝেই দেখা হয়ে যেতো , কথা হলো অনেক পরে.. ভালোলাগা থেকে ভালবাসতে লাগলাম তোমাকে হৃদয় পটে নিরবে এঁকে নিলাম তোমার ছবি। দেখা আর কথা হওয়ার মধ্যেই, হয়ে গেল দু’জনার ভালোবাসা। দীর্ঘ সময় একসাথে চলার পর, হঠাৎ ছন্দপতন দু’জনার মাঝখানে গড়ে উঠলাম কঠিন এক দেয়াল.. ভাঙনের সূরে সব এলোমেলো হয়ে গেলো। এরপরের ঘটনা আর কাউকে বলার মত নয় নিরবে কেঁদে কেঁদে চোখের জল নি:শেষ করলাম। একসাথে চলার বহু স্মৃতি মাঝে মাঝে অসহ যন্ত্রণা দেয়, তোমার আমার মাঝে গড়ে ওঠা দেয়াল দুর্ভেদ্য আজ.. চাইলেই ভেঙে দিতে পারি না। তোমার স্মৃতি বুকে নিয়ে আমি তোমাকেই খুঁজে ফিরি.. আর তুমি দিব্যি সুখে আছো অন্য কারো বুকে মাথা রেখে, জানি তোমায় পাবো না আমি, তবুও তবুও খুঁজে ফিরি তোমাকে । তুমি ঠিকই ভুলে গেছো আমাকে, আমার কোন স্মৃতিই আজ তোমার মনে পড়ে না.. আমার প্রতি তোমার অবহেলা, অবজ্ঞা আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় সবকিছু । মনে হয় তুমি হারিয়ে গেছো দূর কোন অজানায়, তবুও খুব মনে পড়ে তোমাকে । আমার তো আর কিছু নেই তুমিহীন অস্তিত্ব সংকটে পড়া জীবনে, তাই হৃদয় পোড়া ছাই দিয়ে তোমার নামে তাজমহল বানাবো আমি, সেখানেই থাকবে তুমি আমার কল্পনার রানী মমতাজ হয়ে.. বিশাল অট্টালিকা, সমুদ্র , মরু, পাহাড় নৈরাশ্য বুকের রক্তক্ষরণ হতে তুমি জেগে উঠবে আমার প্রতিটি নি:শ্বাসে তুমি থাকবে, আগ্নেয়গিরির লাভা বুকের ভিতর জমে তুমি নেই কোথাও তবুও থাকবে হৃদয় জুড়ে আমার সকল অভিমান তবুও তোমার গোলাপি ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়াবে শত সহস্র রজনী ধরে। তুমি ছিলে, তুমি নেই তুমি থাকবে না কভু আমার হয়ে তবু…তবুও মনে পড়ে তোমাকেই !!