সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আটারই গ্রামের শিল্পী আক্তার(২৩) নামে এক প্রবাসী কর্মরত মেয়ের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (৩জুলাই) রহস্যজনক ভাবে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সুবান সরদার ও ফরিদা বেগমের মেয়ে। মৃত্যুকালে মারজিয়া ইসলাম (তাশা) (৫) নামে এক মেয়ে সন্তান রেখে যান।

অনুসন্ধানে জানা যায়,মৃত্যু:শিল্পীর পিতা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী আছেন। মেয়েকে প্রায় সাত বছর আগে ঝিকরগাছা গ্রামে বিবাহ দেন। মেয়ের জামাই দুই বছর আগে বিদেশ চলে যায়। গত বছর তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মৃত্যুর সময় সে পিতৃলয়ে ছিল। এলাকার লোকজনকে না জানিয়ে ফরিদা বেগম তার বাপের বাড়ির লোক দিয়ে দাফন সম্পন্ন করে। এর ফলে এলাকার মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে?

মো:হাফিজুর রহমান,মো:মুজাহিদ,হাবিবুর রহমান, মো:শিমুল ইসলাম, মিন্টু সরদার,মো:ফারুক হোসেন, সাইফুল,রনজিৎ, আনিসসহ স্থানীরা জানায়,শিল্পীর পিতা ১২ বছর বিদেশ থাকে। মেয়েকে সাত বছর আগে ঝিকরগাছায় বিয়ে দিয়ে দেয়। বিবাহের দুই বছর পর জামাতাকেও বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। গত বছর মেয়েকে ওই জামাইয়ের কাছ থেকে ডিভোর্স করিয়ে নেই শিল্পীর চাচা ও মা। ওই পরিবারে শিল্পী আক্তারের মা ফরিদা বেগম,চাচা হায়দার আলী ও পাঁচ বছরের মেয়ে তাশা বসবাস করে। তারা আরও বলেন,মৃত্যু:শিল্পীর গলায় এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এলাকাবাসীর ধারণা মায়ের সাথে চাচার অবৈধ সম্পর্ক মেয়ে জানার কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এই হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে মরহুমের মা ফরিদ বেগম(৪৫) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার মেয়ের ষ্টোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাচা হায়দার আলী (৪৮) বলেন, শিল্পীর মার সম্মতিতে দাফন করা হয়ে ছিল।

এ বিষয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকাবাসী একটি লাশ ময়না তদন্তের আবেদন করছে কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে যাওয়া আমাদের কিছু করার নেই। যদি পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করে তখন আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ