শাহিন আলম খলিষখালী পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালীতে এক গৃহবধুর আত্নহত্যা নিয়ে এলাকায় নানা গুজ্ঞন উঠেছে। হত্যা না আত্নহত্যা ? এ নিয়ে ধ্রম্রজালের সৃষ্টি হচেছ।এলাকায় শোনা যাচেছ ঐ গৃহবধু অমরি বাছাড় কে ধর্ষন করার অপমান সহতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে। আবার অনেকে বলছে স্বামীর সংসারে ঋনের বোঝা সইতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে।
এ ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুজ্ঞন। সরজমিন গিয়ে জানা গেছে খলিষখালী ইউনিয়ানের পারকৈখালী গ্রামের শিক্ষক পরিমল বাছাড় ঋনের দায়ে অবশেষে নিজ বাড়ী পর্যন্ত বিক্রয় করে দেন। বাড়ীটি টিকারামপুর গ্রামের মৃত আজিজ সরদারের পুত্র খালেক সরদার ক্রয় করে নেন। সেই সুত্রে খালেক সরদার তাদের বাড়ীতে যাতায়াত করত বলে সবাই জানান। এখন অভিযোগ উঠেছে খালেক সরদার ঐ বাড়ীতে যাতায়াতের কারনে তার দৃষ্টি পড়ে শিক্ষক পরিমল বাছাড়ের স্ত্রীর উপর। যার কারনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এ দিকে ঋনেন কারনে শিক্ষক পরিমল বাছাড় পালিয়ে পালিয়ে বেড়াত।
তবে অমরি বাছাড়ের ঝুলন্ত লাশ ঘরের পিছনে পেয়ারা গাছে পাওয়া গেছে। কিন্তু ঐ পেয়ারা গাছের নিচে রয়েছে খেজুরের খান্দি কাটা। যা অমরি বাছাড়ের পায়ে কাটা ফুটবে কিন্তু তার পায়ে কোন জায়গায় কাটা ফোটার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাহলে কি অমরি বাছাড় কে হত্যা করে পেয়ারা গাছে টাঙিয়ে দিয়েছে এমনও প্রশ্ন সবার মনে ঘুরপাক খাচেছ। এ দিকে থবর পেয়ে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদ আলি মরজমিন এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরন করেছে। এ দিকে অভিযুক্ত খালেক বাড়ীতে না থাকায় বিষয়টি আরো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বণে জানা গেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ