তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খলিষখালীতে গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম।
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিষখালীতে ফাহিমা বেগম ওরফে আলো (৪৫)নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামাত ক্যাডারের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার(১৩জুলাই) সকালে খলিষখালী ইউনিয়নের টিকামপুরে গ্রামে ঘটনাটি ঘটে ।
আহত ওই গৃহবধুর টিকারামপুর গ্রামের হায়দার আলী গাজীর স্ত্রী। অভিযুক্ত যুবক হলেন, একই এলাকার গফফার গাজীর ছেলে মনি গাজী। সরোজমিনে গেলে ভুক্তভোগী জানান, ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। ওই সময় সময় মনি গাজী ও তার মা হাসিনা বেগম বাড়িতে এসে মিথ্যা পানচুরির অভিযোগ এনে রাস্তায় নিয়ে যায়। পরে তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।মারপিটের এক পর্যায়ে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মনি ও তার মা পালিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি আহত অবস্তায় বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে খলিষখালী খালী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান ওই ভুক্তভোগী।প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী জানান, আলো বেগমকে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে বেধড়ক মারপিট করেছে মানি ও তার মা। ঘটনার আগের দিন আলো আমার বাড়িতে কাজ করেছে।এমন বর্বর নির্যাতনের শাস্তির জন্য জোর দাবী জানান তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে মনিগাজী ও তার মা হাসিনা বেগম বলেন, আলোর স্বামী সে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বরজে পান কেটে নিয়ে যেত। ঘটনার আগের দিন ও ৩০/৪০হাজার টাকার পান কেটে নিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে বাঁধে বিপত্তি। ওই সময় তাকে একটু মারপিট করা হয়েছে বলে অপকটে স্বীকার করে।খলিষখালী ক্যাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটানাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিকালে দুপক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্তা নেওয়া হবে।