দহগ্রামের চার গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
হাসিবুল,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে গেছে। এজন্য দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের সব জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এদিকে আজ সকাল ৯ টায় তা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর নিজ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জানা গেছে, ওই পানিতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের, বড়বাড়ি ,মানিকের চড়, সরদার পাড়া, কাতিপাড়া গ্রামসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় লোকালয়ের ডুক পরেছে পানি। শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এ যাত্রায় আর পানির বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা। ব্যারেজ ও নদী তীরবর্তী মানুষ জানান, গত কয়েক দিন থেমে থেমে ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার ভোর থেকে আরও বাড়তে থাকে নদীর পানি প্রবাহ। পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। নদীপাড়ের এলাকায় বাসী জানান, পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে উপজেলার চরাঞ্চলের ফসলের ক্ষেতগুলো ডুবে গেছে। নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। দহগ্রাম ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার জাহেদুল ইসলাম জানান, তিস্তায় পানি বাড়লে বুকটাও কেঁপে ওঠে। চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। দহগ্রাম তিস্তার চরের মোস্তফা বলেন, নদীতে পানি বাড়লেই চরাঞ্চলের মানুষ বন্দি হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে বন্যা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে বাড়লে কিছুদিন পরেই বন্যা হবে। পাউবো তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে আপাতত আর বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনো শঙ্কা নেই।