মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের হামিদপুরে করতোয়া নদী থেকে বছরের পর বছর বালু দস্যুরা অবৈধভাবে বালুর পয়েন্ট বানিয়ে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চৌদ্দ পুরুষের একটি কবরস্থান বিলীন হয়ে গেছে।দুটি গ্রাম ও একটি রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে।এতো বাড়াবাড়ীর পরোও বালুদস্যু বাহিনীর ভয়ে ওই এলাকার নিরীহ মানুষজন প্রতিবাদ করবার সাহসো পায় না। খবর পেয়ে সম্প্রতি সেখানে গেলে অভিযোগের সত্যতা মেলে।সংবাদকর্মীরা স্পটে পৌঁছা মাত্রই ফোন আসে বালুদস্যু বাহিনীর অন্যতম সদস্য জালালের। সংবাদকর্মীরা কথা বলতে না চাইলেও একপ্রকার জোর করেই কথা বলেন। এসময় বালুদস্য জালাল সংবাদ কর্মীদের স্পট থেকে ব্যাক করবার জন্য অনুরোধ করেন।পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এসময় সংবাদকর্মীরা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১০মিনিটের মধ্যেই হাজির হন আলোচিত বালুদস্যু জালাল। এবং সংবাদকর্মীদের স্পট থেকে মুভ করবার জন্য জোরজবস্তি করেন।একপর্যায়ে সংবাদ কর্মীদের কাছে ব্যর্থ হয়ে লোড করা বালু বোঝাই ট্রাক্টর স্পটেই আনলোড করে সেখান থেকে গাড়ি ও লোকজন নিয়ে কৌশলে সটকে পড়েন।সে সময় বালুদস্যু জালাল, প্রশাসন ও সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখিয়ে নেয়ার হুমকি দেন। এদিকে স্পট থেকেই মুঠোফোনে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দ্রুত ঘটনস্থলে ছুটে আসেন।ততক্ষণে অবৈধ ওই বালুর পয়েন্ট থেকে পালিয়ে যায় বালুদস্যু জালাল গং এর সদস্যরা।বিষয়টি নিয়ে অত্র এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পুলিশ ও প্রশাসন যদি তৎপর হইত তাহলে তারা এতটা বেপরোয়া হতে পারত না।পুলিশ মাঝে-মাঝে এসে এখান থেকে টাকা নিয়ে যায়।ইতিপূর্বে এক সাংবাদিক এখানকার রিপোর্ট করতে এসে লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে গেছেন।আমরা চাই,যেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে আগামীতে আমরা আরো ক্ষতির মুখে পড়বো তাতে কোন সন্দেহ নেই।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ