নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দলের জেরে মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ নেতার পর এবার যুবলীগ নেতাকে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা
ওমর ফারুক খান নাটোর সংবাদদাতাঃ
নাটোরের লালপুরে ওসমান গনি (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়াচিলান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশ এবং স্থানীয়রা। এই ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটা) মামলার প্রস্তুতি চলছিল এবং কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত ওসমান গনি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আখের আলীর ছেলে ও ৫নং ওয়ার্ড যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক হত্যার মামলার প্রধান আসামি। ১জানুয়ারি প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে ১৪ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গনির সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের সূত্র ধরেই এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
নিহত ওসমান গনির বড় ভাই আফসার আলী বলেন, সকালে বাড়ি থেকে গ্রামের দোকানে চা খেতে বের হয় ওসমান। এসময় বাড়ির অদুরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে ওসমানকে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে পায়ের ও হাতের রগ কেটে মাটিতে ফেলে রেখে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওসমান। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু এব্যপারে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারই জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এ ব্যাপারে বলেন জামায়াত শিবির পরিকল্পিতভাবে হাত পায়ের রগ কেটে ওসমানকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির মন্তব্যে তিনি বলেন এ ব্যাপারে উনি ভালো বলতে পারবেন।
এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে । ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।