খাদ্য উৎপাদন কমার আশংকা, বিনষ্ট হচ্ছে প্রতিবেশ ও পরিবেশ

হাসিবুল,পাটগ্রাম সংবাদ দাতাঃ

লালমনিরহাট জেলা ধীন পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ২ নং ওয়ার্ড লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে বাম সাইডে প্রায় ১ শত বিঘা জমিতে একটি স্থাপনা করা হবে মর্মে নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালি আর এই বালি আনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রলি যার ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে এল জি ই ডি তৈরি করা রাস্তা ও ব্রীজ,অপর দিকে কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। চাষাবাদযোগ্য জমিগুলো ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।যার কারণে দিন দিন আবাদি জমির সংকট দেখা দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে কোন সময়ই দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

জানা গেছে, এ সংকট সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায়। জনসংখ্যার অতি চাপে এই উপজেলায় গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, উপজেলায় প্রতি বছরে গড়ে ২০০ হেক্টর কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।
জোংড়া এলাকার বেশ কয়েক জন কৃষক বলেন, আমরা ৮০ বছরের বেশি, আগে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ একর জমি চাষাবাদ করতাম। ৮/১০ বছর আগেও ৮/১০ একর জমি চাষাবাদ করেছি। কিন্তু এখন ২/৩ একরের বেশি করতে পারি না। মূলত আগে কিছু জমি বর্গা নিতাম। এখন সেসব জমির মালিক জমি ফেরত নিয়ে গেছে। এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থপনা, চাকরিজীবীদের জন্য বাসা বাড়ি। জমির চাষাবাদের চেয়ে বাসা বাড়িতে আয় ভাল। তাই জমি মালিকরা সেদিকে ঝুঁকেছেন।
এসময় পাটগ্রাম, বাউরা কুচলিবাড়ি যাতায়াতের সাধারণ পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান অবৈধভাবে সিঙ্গিমারি নদি থেকে বালু নেওয়া আনার কারণে রাস্তায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ধুলা ও রাস্তা ভাঙ্গা কারণে মোটরসাইক ও অটো রিক্সা নিয়ে চলাচলের অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ