মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মন্মথপুর ইউপি’র তাজনগর মৌজার বারাই পাড়ায়
নেছামন নাজমা দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসাটির নামে ওই অঞ্চলের দ্বীনি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ডা.ইমার উদ্দিন কায়েস ৭৩ শতক সহ আরো কয়েকজন দাতা জমি দান করেন।হঠাৎ করে তিনি কাউকে কিছু না বলে উক্ত দানকৃত জমি পুনরায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।এই ঘটনা জানার পর মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, এলাকার মানুষজন ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।তারই প্রতিবাদে গত ৫ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার)সকাল ১১টায় উক্ত মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্টরা এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ওই মানববন্ধনে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মোঃআব্দুর শুকুর আলী ও সহকারী পরিচালক মর্তুজা আলী বলেন,মাদ্রাসাটি শুরু থেকেই আমরা সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছি।মাঝে জমি দাতার ষড়যন্ত্রের কারণে এই দিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি হুমকির মুখে।জমিদাতা ডা.ইমার উদ্দিন কায়েস দানকৃত জমি পুনরায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করে দিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।উল্লেখ্য,ডাক্তার ইমার উদ্দিন কায়েস গত ১৩.১০.২১সালে পার্বতীপুরের দাগলাগঞ্জে এই দিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ৭৩শতক সহ অন্যান্য দাতাগণের দানকৃত জমি উপজেলার মন্মথপুর ইউপি’র তাজনগর মৌজার বারাইপাড়ায় নেছামন নাজমা দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসাটির নামে দান করে দেন।হঠাৎ করে তিনি শর্ত ভঙ্গের মিথ্যে অজুহাত এনে তার দানকৃত ৭৩ শতক জমি সহ অন্য দাতাগণের দানকৃত সম্পত্তি ভুলভাল বুঝিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ওই দানকৃত জমি পুনরায় হস্তান্তরিত করে দিয়েছেন।ফলে এই অঞ্চলের হাজারো অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।এলাকার শুধি জনরা বিষয়টি নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ডা.ইমার উদ্দীন কায়েসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,তারা শর্ত ভঙ্গ করেছে এবং তারা প্রতিষ্ঠানটি চালাতে ব্যর্থ হয়েছে।যার ফলেই আমি এই কাজটি করতে বাধ্য হয়েছি।আমিতো ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এই কাজটি করিনি।ওখানে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।যেখানে ওই অঞ্চলের মানুষ ফ্রিতে চিকিৎসা নিতে পারবে

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ