প্রধানমন্ত্রী দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে নিরন্তর সহযোগিতা দিচ্ছেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো: মোজাম্মেল হক খান বলেছেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদককে নিরন্তর সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। দুদক এখন একটি প্রভাবমুক্ত স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমাদের কর্মকান্ডের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। আজ রোববার (০৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার এসব কথা বলেন। পিরোজপুরের বাইপাস সড়কের দূর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুদক কার্যালয়। মতবিনিময় সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক শেখ মোঃ ফানাফিল্যা, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান পিপিএম সেবা, সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি মাহমুদ হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাড. রেজাউল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক এস.এম. তানভীর আহম্মেদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান নাসিম আলী, সাধারণ সম্পাদক খালেদা আক্তার হেনা, বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম হাসান সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নেতৃবৃন্দ এ সভায় বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন।
এসময় নির্বাহী প্রকৌশলীগণ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসক দুর্নীতি প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দুদক কমিশনার আরো বলেন শুধুমাত্র চাকুরিজীবিরাই দুর্নীতি করেন তা সঠিক নয়, বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার এক অংশ এখন দুর্নীতির সাথে জড়িত। দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হলে আমাদের জিডিপি ২% বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হয়। ১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শুধুমাত্র আইন করে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না- এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি করা। দুদকের দায়ের করা মামলাগুলো দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এসব মামলা দ্রুত বিচার করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। দুদকের কাজের গতি অতীতের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে বর্তমান গণতান্ত্রিক অবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে ভাল। ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা বর্তমান সরকার করেছে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। দুদকের ১১টি কৌশলের মধ্যে ৫টি হচ্ছে প্রতিরোধ ও ৬টি হচ্ছে প্রতিকার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা ষ্টোর করা হয়েছে সততার উন্মেষ ঘটানোর জন্য।