মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে স্ত্রীর বসত ঘর থেকে একটি মরাদেহ উদ্ধার করেছে বাউফল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে পহেল সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকার সময়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নাজিরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর তালুকদারের ছেলে বাবু তালুকদার। সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ব্রাশ হাতে নিয়ে দাঁত মাজতে মাজতে দ্বিতীয় স্ত্রী ময়নার বাড়িতে যায়। তার কিছুক্ষন পরে কান্নাও চিৎকারে শব্দ শুনতে পায় গ্রামবাসি। কান্নার আওয়াজ শুনে গ্রামবাসি ছুটে গেলে,দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের আড়ার সাথে রিয়াদুল ইসলাম বাবুর নিথর দেহ ঝুলতে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন । তবে বাড়িতে কোন লোকজন দেখতে পাইনি স্থানীয় গ্রামবাসী। গ্রামবাসি আরো জানান বাবুর লাশের পা দুটো মাটির সাথে মিলানো ছিল, তাতে মনে হয়না যে, সে আত্মাহত্যা করেছে। আমরা মনে করি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।

স্থানীয় বাসিন্দা সহরভানু বলেন,সকালে দুই স্বামী স্ত্রীকে ঝগড়তে দেখি,ঝগড়া শেষে তার ছোটো বউ বাজারে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পর বাবুর লাশ পুলিশ এসে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এই মহিলা আগের স্বামীর সাথে খারাপ আচাণ করেছে। আগের স্বামীকে মারধোর করছে।

এব্যাপারে নিহত রিয়াদুল ইসলাম বাবুর ছোট বোন রিকা বলেন, আমার একটি মাত্র বড় ভাই তাকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদেরকে যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে হত‍্যার যেন সুষ্ঠু বিচার হয় এর দাবি জানাই।

তিনি আরো বলেন সঠিকভাবে তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে আসল রহস্য। কেননা এখন ও কোন সাংবাদিক এ বাড়িতে আসে নাই, ফোন দিলে বলে এটা,পুলিশ কেস, পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ বলে এটা আত্মাহত্যা,আমার প্রশ্ন বাউফল থানা পুলিশ কিভাবে বুঝতে পারল এটা আত্মাহত্যা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আনসার মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও বিভিন্ন সময় আত্মহত্যার আলামত দেখতে পাই কিন্তু রিয়াদুল ইসলাম বাবুর মরদেহ দেখে এটি আসলে আত্মহত্যা বলে আমরা মনে করি না, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা ৯ নং ওয়ার্ড বাসির একটাই দাবি বাউফল থানা পুলিশ সঠিক তদন্ত করে এই পরিকল্পিত হত্যার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেকে চিহ্নিত করে আইনের কাঠগড়ায় এনে সঠিক বিচার করতে পারে এটাই আমাদের একমাত্র দাবী।

এ ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গ্রাম পুলিশের কাজ হচ্ছে গ্রাম পর্যায়ে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, পুলিশকে খবর দেওয়া এবং সেখানে ছুটে যাওয়া। কিন্তু বাবুর মৃত্যুর খবর শুনে গিয়ে দেখি বাবুল লাশ যেভাবে রশি সাথে ঝোলানো ছিল তাতে মনে হয় না যে বাবু আত্মহত্যা করেছে, আমার মনে হয় এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা এই পূর্বপরিকল্পনা হত্যাকারীর বিচার দাবি করেছি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক কাছে জানতে চাইলে তিনি রিয়াদুল ইসলাম বাবুর হত্যা নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ