মোঃ ইকরামুল হক রাজিব স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ,টিসিবির ৫৪০ লিটার সয়াবিন তেল তা গভীর রাতে উদ্ধার সহ ১ ব্যক্তিকে আটক করেছে মোল্লারহাট পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শাসন গ্রামের মোঃ আশিকুর রহমান শরীফের বাড়ির একটি টিনের ঘর থেকে এসব তেল উদ্ধার করা হয়। একই সাথে কালোবাজারীতে সংশ্লিষ্ট গৃহকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান শরীফ (২৭)কে গ্রেফতার পূর্বক মামলা রুজু করা হয়। ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য সরকারের দেয়া টিসিবির এসব তেল কালোবাজারে বিক্রির মূল হোতা ডিলার মোঃ সাবরাজ শিকদার (২৭)কেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আটক আশিকুর রহমান শরীফকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, চুনখোলা গ্রামের মোঃ আঃ হানিফ ওরফে কায়দা শিকদারের ছেলে মোঃ সাবরাজ শিকদার তার নিজস্ব পরিচালিত মেসার্স শিকদার ট্রেডার্স নামের লাইসেন্সের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দীর্ঘদিন ধরে কালোবাজারে বিক্রি করছিলেন। যে কারণে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়া সহ ভোক্তাদের অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছিলো। প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ডিলারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি ঐ এলাকায় সাধারণ মানুষ। এখন যেহেতু হাতে নাতে ধরা হয়েছে সেহেতু এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় অপরাধ প্রবণতা আরো বেশি বেড়ে যাবে বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা।

আশিকুর রহমান শরীফ বলেন, টিসিবির এসব পণ্য (তেলের) ডিলার সাবরাজ শিকদার গত রাতে ৮টার পরে তার বাড়িতে নিয়ে রেখে আসে। ওই ডিলারের নিজস্ব দালান ঘর থাকার পরও কেন তার টিনের ঘরে রাতে এসব পণ্য রেখে আসলো এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নাই আশিকুর রহমান।

থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আশরাফুল আলম জানান, মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট চুনখোলা ক্যাম্পের ইনচার্জ ও পুলিশ ফোর্স দিয়ে টিসিবির পণ্য ৫৪০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করি। এরপর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে ম্যানেজার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও টিসিবি পন্যের ট্যাগ টিমের আহবায়ক, বিপ্লব শেখের বাদীত্ব বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় ডিলারকেও আসামি করা হয়েছে। পরবর্তী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ