মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি//
উপজেলার ১২নং রাজারামপুর ইউনিয়নের মেধাকান্দর ডিসি’র মোড়ে ইজিবাইক ছিনতাইকালে ০২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। আটককৃত আসামী বিরল থানাধীন গোবিন্দপুর (মেম্বারপাড়া) গ্রামের কামাল সরকার ও সখিনা বেগমের পুত্র শরিফুল ইসলাম সাগর (২৬) এবং অপর আসামী কোতয়ালী থানাধীন হাউজিং মোড় শেখপুর এলাকার মৃত জাফর আলী ও মৃত সখিনা বেওয়া’র পুত্র আব্দুল আজিজ (৪০)। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিরল থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১০টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর কোতয়ালী থানাধীন সুইহারী খালপাড়া এলাকার দুলাল ও মনছুরা বেগমের পুত্র গোলাম মুর্তজা (২৪), তাহার নিজের ইজিবাইক নিয়া দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মোড়ে অবস্থানকালে ০২নং আসামী আব্দুল আজিজের কন্যা সন্তান প্রসবের জন্য বিরল থানাধীন সেতারা বাজার হইতে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়া আসিবে মর্মে ২০০/- টাকা দিয়ে সেতারা বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

অতপর সেতারা বাজার পৌঁছারপর আসামীদ্বয় বাদীকে আরোও একটু সামনে যাওয়ার জন্য বলে। কিছুদূর যাওয়ায় পর আসামীদ্বয় আরোও একটু সামনে যাইতে বলে। তখন বাদীর কিছুটা সন্দেহ হইলে একই তারিখ রাত্রি অনুমান ১১.২০ ঘটিকায় বাদী মেধাকান্দর ডিসির মোড়ে দাড়াঁয় এবং বাদী আর যাইবেনা বলিয়া তাহার ভাড়া দাবি করে। তখন ১নং আসামী তাহার নিকট হইতে ০১টি চাকু বাহির করিয়া বাদীর পেটের বাম পার্শ্বে নিকট ধরিয়া বলে শালা একটা কথা বলবি না, তোকে যেতেই হবে, কথা না শুনলে ইজি বাইক ছেড়ে দৌঁড়াইয়া পালাইয়া যা, নইলে তোর গলা কাটা লাশ রাস্তার কাছে পড়ে থাকবে।

বাদী সাথে সাথেই ইজিবাইক হইতে ভয়ে নেমে পরে। তখন উপস্থিত লোকজন আসামীদ্বয়কে আটক করিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং উপস্থিত জনগণের সামনে নিম্ন বর্ণিত মালামাল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।

উদ্ধারকৃত মালামালের বর্ণনা; ১টি গাড় আকাশী রংয়ের ক্লোজ কভার যুক্ত ধারালো চাকু, ১টি ২৭ (সাতাশ) ইঞ্চি লম্বা খয়েরী রংয়ের লাইলনের রশি। শ্বাসরোধ করে হত্যার করার জন্য আসামিরা রশিটি ব্যবহার করে। ১টি পুরাতন বাটন মোবাইল ফোন এবং ১টি লাল রংয়ের ইজিবাইক। যাহার মধ্যে ০৪টি ব্যাটারী আছে।

বিরল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে, অটো বাইক কিংবা সিএনজিতে আপনি উঠার পূর্বে বসে থাকা যাত্রী এবং আপনি উঠার পরের যাত্রীদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। যদি কোন সন্দেহ কাজ করে তাহলে ভুল করেও সন্ধ্যার পরে সেই সিএনজি বা অটো বাইকে যাবেন না। চালকের চেহারাটা খুব ভালোভাবে মনে রাখবে। সুযোগ পেলে কৌশলে চালক,যাত্রী ও সিএনজি নাম্বার প্লেটের ছবি তুলে রাখবেন। ধন্যবাদ বিরল বাসীকে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ