মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন কাজী ফিরোজ হাসান
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/uploads/2023/08/received_1004109397286085.jpeg)
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বরখাস্ত হয়েছেন মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানের বিরুদ্ধে। এমনকি নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দাবী করে গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ায় বিষয়টি ইতিমধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ফলে প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানের ওই সকল তথ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।
তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক নাশকতা ও সহিংসতার দুটি মামলায় প্রাথমিকভাবে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১৮ জুলাই পুনরায় জামিনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে মাননীয় আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে গত ২৩ জুলাই উভয় মামলায় আমাকে জামিন দেন এবং গত ২৭ জুলাই আমি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে পূর্বেরন্যায় পৌরসভার মেয়রের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তবে গত ২ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপ-সচিব স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে ‘মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী গ্রেপ্তার হাওয়ায়, দায়িত্ব পালনে অসমাপ্ত হওয়ায়, তিনি স্বীয়-দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত উক্ত পৌরসভা কর্তৃক ১৮ জুলাই ২০২৩ খ্রি তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ পরিষদ সভার কার্যবিবরনীর আইটেম ১ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সরকার(পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ধারা ৪০(২) অনুযায়ী উক্ত পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে পৌরসভার প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।’ অর্থাৎ আমি কারাগারে থাকার সময় পর্যন্ত কাজী ফিরোজ হাসানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমি কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর আমার দায়িত্বভার গ্রহণপূর্বক মেয়রের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছিন। সেক্ষেত্রে উল্লেখিত প্রজ্ঞাপনটি কার্যকারিতা শুরু হওয়ার পূর্বেই শেষ হয়েছে। তাই প্রজ্ঞাপনটি আইনের ভাষায় াড়রফ ধন রহরঃরড় অর্থাৎ শুরু থেকেই বাতিল। তবে প্রজ্ঞাপনটি জারির পরপরই প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবী করে গত ৩ আগস্ট একটি নিউজ পোর্টালে বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আমি আইন অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে এসে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবো বলে ওই নিউজ পোর্টালে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাতক্ষীরা পৌরবাসীসহ সাতক্ষীরার আপামোর জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতিসাম্প্রতিক কালে অবৈধভাবে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দাবী করে মেয়রের কার্যক্রম পরিচালনা করায় মহামান্য হাইকোর্ট কাজী ফিরোজ হাসানকে স্ব-শরীরে ডেকে ভৎসনা করেন। তখন তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মামলাটি এখনো মহামান্য হাইকোর্টে চলমান। অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলি আদালতের নজরে নিয়ে আসা হবে। এছাড়া বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি।’
আমি সাতক্ষীরা পৌরবাসীসহ সকলকে প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানের ওই সকল মিথ্যা ও বানোয়াট কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারীর চিঠি আসার পর থেকে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আমি। মন্ত্রণালয় থেকে যদি ওই চিঠি উইড্রো করে তাজকিন আহমেদ চিশতিকে দায়িত্ব প্রদান করতে বলেন তবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।’