মোঃ ইকরামুল হক রাজিব স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার

বাগেরহাটের রামপাল ইউনিয়নে ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ রামপাল এরিয়া অফিস কর্তৃক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্ভুগ্ধ করেন৷
তারই প্রতিফলন প্রেক্ষিতে রামপাল উপজেলাধীন রামপাল সদর ইউনিয়নের গাববুনিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান এর ছেলে এস্তে মোল্লা ১০ শতাংশ জমির উপর ও রামপাল উপজেলাধীন রাজনগর ইউনিয়নের বড় দুর্গাপুর গ্রামের ভবেষ চন্দ্র মোড়ল এর ছেলে সুদাম মোড়ল ১২ শতাংশ জমির উপর ব্লাক সান জাতের কালো তরমুজ এর চাষ করে৷
এই অসময়ে লবণাক্ত এলাকায় তারা তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন এবং আশার আলো দেখতে পান, সংবাদকর্মীরা চাষীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন “আমরা কখনো চিন্তা করি নাই আমাদের এই লবণাক্ত এলাকায় অসময়ে তরমুজের এত ভালো ফসল হবে ৷অমৌসুমে ঘেরের আইলে এভাবে তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়া যায় তা আমরা ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ৷ তরমুজের ভালো ফলন এবং অতি মিষ্টি হওয়ার কারণে বাজারে ভালো মূল্যে বিক্রি করছি, যা থেকে আমরা আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে ভবিষ্যতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারবো বলে আশা রাখি৷”
কৃষকরা আরো বলেন , “আমাদের এই তরমুজ চাষ দেখে অনেকে উদ্ভুগ্ধ হয়েছেন এবং আগামীতে তারাও এই তরমুজ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন ৷
ওয়ার্ল্ড ভিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন “ ওয়ার্ল্ড ভিশন কতৃক আয়োজিত উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের তরমুজের ওপর ৩ দিনের প্রশিক্ষণ এবং তরমুজের বীজ, বিভিন্ন প্রকার সার ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রামপাল এরিয়ার সিনিয়ার ম্যানেজার ফুলি সরকার, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট নজির আহমেদ , প্রোগ্রাম অফিসার নিপা সরকার ও লিপি পান্ডে সহ-সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ল্ড ভিশন রামপাল এরিয়া অফিসের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ৷

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ