মোঃ ইকরামুল হক রাজিব স্পেশাল
ক্রাইম ক্রাইম রিপোর্টার

ষড়যন্ত্রের মাস মানেই আগষ্ট মাস –
আগস্ট যেমন শোকের মাস তেমনি ষড়যন্ত্রেরও মাস।
সেই ষড়যন্ত্রের রেশ এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি ?

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র যেন এই আগস্ট মাসে।

১৫ ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসিত হয়। মুখ থুবড়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়। খুনিরা শাস্তি পেয়েছে। তবে হত্যার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র ছিল, সে বিষয়গুলো চাপা পড়ে আছে-খুনীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়নি –

বঙ্গবন্ধুর নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে বাংলাদেশে এক গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল-যার রেশ এখনো বহমান। ঘাতকরা এখনো উদ্যত।

🔴 ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে! জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

🔴 ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট জেএমবির উদ্যোগে সারা দেশের তেষট্টিটি জেলার পাঁচশো স্থানে একযোগে বোমা ফাটিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের উপস্থিতি ঘোষণা করে।

🔴২০১৮ সালে ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার মিরপুরে পুলিশের ওপর হামলা

🔴পাকিস্তানের জন্ম ১৪ আগস্ট!

🟥🟩 সব ষড়যন্ত্র আগস্টেই ঘটে কেন ?

ভাদ্র মাস এলে যেমন রাস্তার কুকুরেরা পাগল হয়ে যায় তেমনি আগস্ট মাস এলেই বাংলাদেশের এক শ্রেণীর অপরাজনীতিবিদরা অস্থির হয়ে ওঠেন কিন্তু কেন ?

আগস্ট শোকের মাস। শোক থেকে শক্তি। এই শক্তি বুদ্ধির শক্তি এবং এর রূপ বহুমাত্রিক।
স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য জাতিকে প্রস্তুত ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্যথায় দেশে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারী দল গোষ্ঠী
দেশ থমকে দেবে- আমাদের অর্থনীতি ব্যবস্থা স্লোগান তুলবে “পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ।

অতীতের মত ২০২৩ সালেও
স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারী বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমতার ভাগাভাগি, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র, পাকিস্তানি পরাজিত শক্তির কালো জালের পথে হাঁটতে শুরু করেছে “মানুষ ছাড়া পোড়া মাটি চেয়েছিল পরাজিত পাকিস্তান” পরাজয়ের এতবছর পরও সে আশা ছাড়েনি শকুনিপাল।বাংলাদেশকে আবারো গোলাম বানানোর নীলনকশায় মেতে ওঠে তারা।
বর্বরোচিতভাবে অন্ধকার যুগের মতো বাসে আগুন দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ভাংচুর করেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ