আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে শাহাদত বরণ করেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই সঙ্গে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণিসহ অনেক নিকট-আত্মীয়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শ স্বাধীনতাকামী মানুষের অধিকার আদায় ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবসময় অনুপ্রেরণা যোগাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম। ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে তালা-কলারোয়ায় বিভিন্ন জায়গায় শোক দিবসে অংশ গ্রহন করেন। তালায় কুমিরা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,উপজেলা প্রশাসন তালা,তালা উপজেলা আওয়ামীলীগ,কুমিরা বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমিরা মহিলা কলেজ,কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ,ধানদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,ধানদিয়া বালিকা বিদ্যালয়,কলিয়া বাজার, কলারোয়া কয়লা ইউনিয়ন,জয়নগর ইউনিয়নে জাতীয় শোক দিবসে অংশগ্রহন করেন এ সাবেক সফল ছাত্রনেতা শহীদ মুক্তযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ তালা কলারোয়া আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যামী। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার তাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু জোটগত কারনে এ আসনে শরীকদল ওয়ার্কাস পাটিকে দেওয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনে মাঠে জোরালো অবস্থানে আছেন বলে তিনি জানান। এসময় তিনি বিভিন্ন শোক দিবসে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শ স্বাধীনতাকামী মানুষের অধিকার আদায় ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণজাগরণে সব সময় অনুপ্রেরণা যোগাবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তিনি এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালিরই শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবেন। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২’র মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮’র সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২’র গণবিরোধী শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬’র ৬ দফা, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০’র নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে, সহ্য করতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবাবের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ডাক। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু আজীবন সাম্য, মৈত্রী, গণতন্ত্রসহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, বাঙালির মুক্তির দূত। ১৯৭৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আলজিয়ার্সে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত-শোষক আর শোষিত: আমি শোষিতের পক্ষে’। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় তিনি প্রণয়ন করেন একটি গণমুখী সংবিধান। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি দেশই উপহার দেননি, তিনি সদ্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো কেমন হবে তারও একটি যুগোপযোগী রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় জনগণের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখতেন। উন্নয়ন ও স্ব-নির্ভরতা অর্জনে তিনি মানুষের কর্মদক্ষতা, একতা ও যৌথ প্রচেষ্টাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো সেই পথে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। দেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন ‘রূপকল্প-২০৪১’। দিন বদলের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দেয়া

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ