রাকিবুল হাসান শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত কলেজ ছাত্রী মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের অশোক সরদারের মেয়ে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হরিনগর বাজারের গ্রাম ডাক্তার রবীন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মৃম্ময় বিশ্বাস মোহনের সাথে একই কলেজে লেখাপড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ঘটনার দিন নিহতের সাথে বড়সড় মনমালিন্য হয় মোহনের। দেখা করার জন্য কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মোহন। শেষমেষ যোগাযগের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তিন বন্ধু শুভ, জন্মদিন স্বস্তি ও সীমান্তকে নিয়ে স্বশরিরে হাজির হয় নিহতের বাড়িতে। পার্শ্ববর্তী কয়েকজনকে দিয়ে সংবাদ পাঠানো হয় দেখা করার জন্য,এক সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে সে। তার কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী সম্রাটের ঘরে তার ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি হয়তো পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে নয়তোবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্যপুত্রসহ একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। সেটা নিয়ে মনমালিন্য বা ঝগড়াঝাঁটির কারনে এটা হতে পারে। নিহতের পরিবারের সূত্রে যাকে দোষী করা হচ্ছে তার পিতা রবীন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন অন্য কথা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ফরম ফিলাপের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছে সে। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। মৃম্ময় বিশ্বাস মোহন পলাতক কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রসঙ্গ এড়িয়ে নিজের ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ডাক্তার রবীন্দ্র বিশ্বাস। তবে তিনি বলেন, আমার ছেলে সহ শুভ স্বস্তি ও সীমান্ত মেয়েটির বাড়ির সামনে গিয়েছিল মেয়েটির জেঠিমা (চাচী)কে দিয়ে কয়েকবার সংবাদ পাঠায় একপর্যায়ে মেয়ের জ্যাঠামশাই(চাচা) চেঁচামেচি করলে তারা চলে আসে।
মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল মোস্তফা আব্দুল হামিদ বলেন,ফরম ফিলাপে প্রথম তালিকায় নাম ছিল মেয়েটির। আমরা(কলেজ কর্তৃপক্ষ)তাকে ফরম ফিলাপ করানোর জন্য কলেজে আসতে বলেছিলাম। মেয়েটির ছোট মামা শেষের দিন ফরম ফিলাপ করবে এই মর্মে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
ঘটনার দিন নিহতের সুরতহাল কারি শ্যামনগর থানার এসআই আরিফ হোসেন ঘটনাস্থলে বলেন, এটা আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না, ময়নাতদন্তের পর সব নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী ১২/১৪দিনের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাব। তখন সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। এলাকাবাসী ও সুধী মহলের দাবি প্রশাসনিক ভাবে খুঁজে বের করেন এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা? যদি এটি হত্যা হয় তাহলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ