১৫ আগস্ট শোক দিবসে সুযোগ নিয়ে দিনাজপুর যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরে ২ কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ
মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি //
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে দেশব্যাপি আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্যস্ত,আর এই দিনে শোকের আড়ালে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডিপিটি কোঅর্ডিনেটর মোঃ মোস্তফা কামাল ও প্রশিক্ষক মোঃ ফারুক হাসান যোগ সাজোস করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক(ডিডি)কে অবগত না করেই এবং সরকারি কোন নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই নিজেদের স্বার্থ হাসিলে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের গাছ কর্তন করে তরিঘড়ি করে সমিলে পাঠিয়ে দেয়।তবে একটি গাছ কাটার পরেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেনীর এক কর্মচারী বিষয়টি দেখে ফেলায় গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করেন করে চতুর্থ শ্রেনীর ঐ কর্মচারি সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডিপিটি কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা কামালকে গাছ কর্তনের কারন জানতে চাইলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে তিনি বলেন এটি একটি অবাঞ্চিত গাছ সে কারনে কেটে ফেলা হয়েছ।অথচ তিনি যে গাছটিকে অবাঞ্চিত গাছ বলছেন সেটি একটি তরতাজা জীবন্ত আমগাছ যেটা তার কাছে মুল্যহীন ও অবাঞ্চিত মনে হওয়ায় কেটে ফেলেছেন।তবে গাছ কাটার বিষয়ে কতৃপক্ষ বা ডিডিকে অবগত করা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন জানে তবে সাথে কথা হয়েছে তাকে বললে তখন মোস্ফা কামাল ও প্রশিক্ষক ফারুক হাসান বলেন ডিডি পরে জেনেছে।কিন্তু গাছ কর্তনের পর সমিলে পাঠিয়ে দেবার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন সেগুলা সমিলে কাটার জন্য পাঠিয়েছি।সরকারি নির্দেশনা ও নীতিমালার ভ্রুক্ষেপ না করেই নিজেদের স্বার্থে যে গাছ কাটা শুরু করেছিল তা ধামাচাপা দিতেই মিথ্যে যুক্তি দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছিলেন।এ প্রসঙ্গে যুব উন্নয়নের ডিডির সাথে মুঠো ফোন কথা বললে তিনি বলেন ডিপিটি কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা কামাল তাকে কোন কিছুই অবগত করেনি।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ছিলাম।সেখান থেকে আসার পর জানতে পেরছি যে তারা প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটেছে।তবে অত্র প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে সরককারি কোন নীতিমালা অনুসরন করার প্রয়োজন হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি গাছ হোক আর একাধিক গাছ হোক প্রধান কার্যালয়ের কোন অনুমতি বা নির্দেশনা ছাড়া কোন কিছুই নিজের ইচ্ছেতে করা যাবে না।তারা যেটা করেছে ঠিক করেনি।আমি বিষয়টি দেখছি বলে প্রতিনিধিকে অবগত করেন।দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান প্রতিষ্ঠানের ডিডিকে অবগত করেন তারপর আমি বিষয়টি দেখছি।তবে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডিপিটি কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা কামাল ও প্রশিক্ষক ফারুক হাসানের দূর্নীতির একাধিক তথ্য দেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রনীর এক কর্মচারী।তিনি এসময় প্রতিনিধিদের বলেন যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের গবাদিপশু তিনটি গরু বিক্রি করে দিয়ে কোষাগারে যৎসামান্য টাকা জমা দেন,পুকুরের মাছে রাতের অন্ধকারে তুলে বিকি কোয়াটারে দুটি সরকারি মিটার,চতুর্থশ্রনীর কর্মচারীদের নামে বরাদ্দকৃত কোয়াটারে অবস্থানসহ আবাসিক প্রশিক্ষনার্থীদের খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রসহ অসৎ পন্থায় সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।তবে কতৃপক্ষের সঠিক তদন্তেই বেরিয়ে আসবে সব ঘটনার সত্যতা এমটাই মনে করেন বিবেকবান সচেতন মহল।
যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্তনকৃত গাছ যে সমিলে পাঠানো হয়েছে সেই এসএস সমিলের মোঃ মোহসীন আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান গাছ আমার সমিলে কারা এনেছে কেন নিয়ে এসেছে আর কে গ্রহন করছে তার কোন কিছুই আমি বলতে পারবো না।কারন সেই সময় আমি ছিলাম না।পাঁচবারি থেকে আসা কর্তনগাছ বহনকরে নিয়ে যাওয়া ভ্যান চালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাকে একজন এখানে নিয়ে এসেছে এবং ১হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছে তাই আমি গাছ আমার ভ্যানে করে এখানে এনে দিয়েছে। গাছ কেনা বেচার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি যুব উন্নয়নে এসে গাছ নিয়েছি।তবে যিনি আমাকে গাছ দিয়েছে আমি তার নাম জানি না।তবে আজ একটি গাছ কাটলেও ইতিপূর্বেও এই দুই কর্মকর্তা যুব উন্নয়নের আরো অনেক গাছ কেটেছে বলে সুত্র জানায়।