মোঃ ইকরামুল হক রাজিব স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার পোল্ট্রি খামারের দুর্গন্ধে কয়েকটি পরিবারের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। সে কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। ঘটনাটি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের পিত্তে পালপাড়া এলাকায়। গত ৬ মাস আগে এলাকার কৃষ্ণপদ পালের ছেলে সুদেব কুমার পাল রাস্তার পাশেই নির্মাণ করেন এক হাজার পোল্ট্রি মুরগি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি খামার। সেই থেকে পোল্ট্রি খামারের গন্ধে বাড়িতেই থাকতে পারছে না খামার সংলগ্ন পরিবারগুলো। অসুস্থ হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। কারো মুখেই খাবার উঠছে না। মেহমান আসলেও একদণ্ড দাঁড়াতে পারছে না বাড়িতে। নাক ধরে যাতায়াত করছে পথচারীরা। পোল্ট্রি খামারের মালিককে বললেও কর্ণপাত করছে না তিনি, উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন অভিযোগকারীদের। পূর্বে একবার সুদেব পালের বিরুদ্ধে এসব বিষয়ে রামপাল স্যানিটারি অফিসার বরাবর অভিযোগ দিল তদন্ত হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তারা। বাংলাদেশ ডাক বিভাগে কর্মরত পোস্টমাস্টার অশোক কুমার পাল জানান, পোল্ট্রি খামারের দুর্গন্ধে স্থানীয় দুলাল কৃষ্ণ পাল, শংকর কুমার পাল, দীপঙ্কর পাল, দিলীপ পাল, রতন পাল, সুবোধ পালসহ কয়েকটি পরিবারের বসবাস করা দায় হয়েছে। বারবার নিষেধ করা সত্বেও পোল্ট্রি খামারের মালিক দুর্গন্ধ কমাতে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের পরিবারগুলোর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ঠিকমতো খেতেও পারছি না এই দুর্গন্ধের কারণে। অনতিবিলম্বে এই পোল্ট্রি খামার অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তিনি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পোল্ট্রি খামারের মালিক সুদেব কুমার পাল বলেন, প্রতিমাসে আমার কয়েক হাজার পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি হয়। এটাই আমার ব্যবসা। মুরগি লালন পালনে গন্ধতো হবেই। সমস্যা হলে তারা ওয়াল নির্মাণ করুক, অন্য কোথাও বাড়ি বানিয়ে চলে যাক। তারা এপর্যন্ত পঞ্চাশ জনের অধিক বিভিন্ন শ্রেণীর লোক আমার বাড়িতে পাঠিয়েছে। আমার কথা একটাই, ওখানে পোল্ট্রি চাষ হবেই। ক্ষমতা থাকলে কেউ বন্ধ করুক। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ