ওমর ফারুক খান , লালপুর  (নাটোর)  প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে নাটোর-১ (লালপুর -বাগাতিপাড়া)  আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননেতা মমতাজ উদ্দিন এর ২১ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে চংধুপইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলার করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।চংধুপইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন মানিক এর সঞ্চালনায়  স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, লালপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও শহীদ মমতাজ উদ্দিন এর পুত্র শামীম আহমেদ সাগর।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসম মাহমুদুল হক মুকুল, দুয়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম লাভলু, আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান, লালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাঘা, লারপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু, শ্রমিকলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ । এসময় অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বদিউর রহমান বদর,নুরে আলম সিদ্দিকী , যুগ্ন সম্পাদক  আলতাব হোসেন , সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন  নবনির্বাচিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাফুজা খাতুন শাপলা, কদমছিলান ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনছারুল হকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ,  যুবলীগ,  ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগসহ প্রায় বিশ হাজার  লোকের সমারোহ হয়েছে ।

উল্লেখ্য যে, লালপুরের ইতিহাসে ৬ জুন এক শোকের দিন। এইদিনটি লালপুরের মানুষের নিকট শোকাহত রক্তাক্ত ৬ জুন হিসেবে খ্যাৎ। ২০০৩ সালের ৬ জুন রাত ১০টার দিকে গোপালপুর থেকে নিজবাড়ি মিল্কিপাড়ায় ফিরার পথে গোপালপুর-সালামপুর সড়কের দাইঁড়পাড়া নামক এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনকে কিছু দুস্কৃতিকারীরা কুপিয়ে হত্যা করে। তার এই অকাল মৃত্যুতে লালপুরের আ.লীগ নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পরে। জনপ্রিয় এই বর্ষিয়ান নেতাকে হারিয়ে আ.লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নেমে আসে এক অন্ধকারের ঘনঘটা। পরে ২০০৩ সালের ৭ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শহীদ জননেতা মমতাজ উদ্দিনের স্মরণে করিমপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এক স্মরণ সভা করেন। পরে যে স্থানে শহীদ মমতাজ উদ্দিন কে হত্যা করা হয় সেই স্থানে তার স্মৃতির স্মরণে চিরঞ্জিব শহীদ মমতাজ উদ্দিন নামে একটি স্মরণ সৌধ তৈরী করা হয়। তৎকালীন ২০০৪ সালের ৬ জুন বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল স্মরণ সৌধটি উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে প্রতিবছর ৬ জুুন লালপুর-বাগাতিপাড়া উপজেলার আ.লীগও তার সহযোগি সংগঠন ও মমতাজ উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত, স্মরণ সভার মধ্যদিয়ে এই দিনটি পালন করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২৩ সালে মুক্তিযুদ্ধে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ