সুনীল কুমার
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

নওগাঁর পোরশায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৯তম সিঁধু-কানু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

৩০শে জুন রবিবার পোরশা উপজেলা গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়নের সারাইগাছী আদিবাসী পাড়ায় পোরশা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে ধীরেন লাকড়ার সভাপতিত্বে ও আইচন পাহান এর সঞ্চালনায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৯তম সিধু-কানু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোবরধন এক্কা,মেরিনা টুডু সহ সভাপতি জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পোরশা,নিতাই চন্দ্র পাহান সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পোরশা, রাজেন্দ্র নাথ শিং সাধারণ সম্পাদক নিতপুর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।

অন্যান্যদের মধ্যে রতন মিঞ্জ আদিবাসী যুবপরিষদ,যোনাতন মুরমু আদিবাসী সংগঠক, বিমল পাহান সাংগঠনিক সম্পাদক আদিবাসী ছাত্র পরিষদ পোরশা, বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

বক্তব্য বলেন সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁতাল হুল-হলো ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, এই আন্দোলনে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিলো, যার সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়।

তিনি বলেন, ইংরেজ শাসনামলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন, ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। তিনি বলেন, ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাঁদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলেন।

আলোচনা সভা ও তীর ছোড়ার প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে সকল আদিবাসী অংশগ্রণ করেন এবং বিজয়ীর হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ