দেবহাটায় জনসাধারণের চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধের জের, মিথ্যা মামলায় হয়রানি, মুক্তিপেতে সংবাদ সম্মেলন!
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/uploads/2023/08/received_3460497200828448.jpeg)
![](https://dainik71bangla.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দেবহাটা প্রতিনিধি: জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধের বিরোধ নিয়ে দায়েরকৃত ননএফআইআর প্রসিকিউশন মামলায় হয়রানীমূলক আসামী করার অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেবহাটার কোমপুর গ্রামের কিশোরী মোহন দাসের ছেলে রাকেস দাস (৪০)। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা মৌজার ডিএস খতিয়ান- ৫৫৬, হাল দাগ- ৫১৪ জমির উপর দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের দীর্ঘদিনের একটি রাস্তা ছিল। তবে জমির বর্তমান মালিক দাবিদার দক্ষিণ কোমরপুর গ্রামের অনিল দাসের পরিবার সেটি ভোগদখল করে আসছিল। বিধায় বিভিন্ন সময় ওই পথটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসিছিল মালিকপক্ষ। এনিয়ে বহুবার তাদের সাথে ওই পথ ব্যাবহারকারী ৩৫ ঘর কাহার সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি অনিলের পরিবার তাদের জমির বাদেও সরকারি খাসজমি দখল করে রেখেছে। সেকারণে ওই পথ ব্যাবহারকারীরা রাস্তাটি বন্ধ করে না দেওয়ার দাবি করে আসছিল। কিন্তু অনীল দাসের পরিবারের সাথে কোমপুর গ্রামের মৃত দুলাল কাহারের ছেলে অমল কাহারের সাথে অন্য একটি জমি নিয়ে প্রায় ৬/৭ মাস আগে গোলোযোগ বাধে। এরই প্রেক্ষিতে শক্রতার বসবর্তী হয়ে ৩৫ ঘরের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয় অনীল দাসের পরিবার। এঘটনায় ভূক্তভোগীরা সাতক্ষীরা সদর থানায় যৌর্থ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগীতায় উক্ত চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেন। পরবর্তীতে গালিগালাজ, হুমকির অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১২ মে অনীল দাসের স্ত্রী জবা রানী দাস (৩৫) বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ৭৪৬ নং একটি সাধারণ ডায়েরী করে। পরে সদর থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে ১৩ মে ৩২৩/৫০৬ (২) পিসি ধারায় ননএফআইআর প্রসিকিউশন- ৪৯/২০২৩ মামলা দায়ের করেন। যেখানে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ৪জনকে আসামী করা হয়। যার মধ্যে আমার কাকা মৃত সনদ দাসের ছেলে ধ্রুব দাস (৫৫) কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া ২য় আসামী করা হয়েছে আমাকে। অথচ আমি ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। এমনকি বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। অপর দিকে অমল কাহার ও কমল কাহারকে ৩ এবং ৪ নং আসামী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো অভিযোগ করেন মামলার স্বাক্ষী ফয়জুলের বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটারের দুরের এবং তিনি কোন কিছুই জানেন না। অপরদিকে স্বাক্ষী শ্যামল ঘটনার আগে কাজের উদ্দেশ্য এলাকার বাহিরে আছেন এবং স্বাক্ষী মিথুন বাদির আপন দেবর। তাদের এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আমাকে, আমার কাকা সহ আরো ২ জনকে হয়রানি করছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে চায়। তাই জেলার বিজ্ঞ বিচারক ও জেলা পুলিশ সুপারের আশু সুদৃষ্টি কামনার মাধ্যমে মিথ্যা মামলা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।