সুনীল কুমার পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কারাম উৎসব সমতলের আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি এটি আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার বিশেষ উদ্যোগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পোরশা উপজেলার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর ঝর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কারাম উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগে ছোট আকারে কারাম উৎসবের আয়োজন হলেও এখন ব্যাপক পরিসরে হচ্ছে।

কারাম উৎসব সমতলে বসবাস করা আদিবাসীদের প্রাণের উচ্ছ্বাস। এ উৎসব বরেন্দ্র অঞ্চলকে মিলনমেলায় পরিণত করে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সব নাগরিকের সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। আদিবাসীদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে।

তাদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আদিবাসীদের জন্য সরকার স্পেশাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাক মাদলের তালে নাচ-গান আর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে সাঁওতাল, ওঁরাও, মুন্ডা, পাহান, মালো, মাতোসহ আদিবাসীদের বিভিন্ন জাতিসত্তার প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক এই উৎসব উদযাপন করা হয়।

উৎসবে বিভিন্ন উপজেলার আদিবাসীদের ১৮টি সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজস্ব গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের পোরশা উপজেলা সভাপতি ধীরেন লাকড়া। সঞ্চালানায় আইচন পাহান সাধারণ সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পোরশা উপজেলা শাখা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা. পোরশার সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাপাহার উপজেলার সভাপতি ভুট্টু পাহান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এবং ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, শুকুরাম লাকড়া আদিবাসী নেতা লক্ষ্মীপুর গ্রাম, পণ্য চন্দ্র খালকো সহযোগী লক্ষীপুর গ্রাম।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ