বিশেষ প্রতিনিধি :

:
সাতক্ষীরা-১ তালা – কলারোয়ার ১০৫ গনমানুষের নেতা রাজপথ কাপানো সৈনিক ৮০( আশি) দশকের ছাত্রনেতা তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শহীদ পরিবারের সন্তান জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি তালা কলারোয়াসহ ২৪ টি ইউনিয়নে নির্বাচনী গনসংযোগ ও উঠান বৈঠাক ও কর্মি সভা সমাবেশ করছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪৫টি বছর রাজনৈতিক জীবনে পিতা, মাতা,বড়,সেজ ভাইকে হারিয়েছেন। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত কারাবরণকারী নেতা, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার শেখ নুরুল ইসলাম বর্তমান স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত শিবিরের আতঙ্ক। মাত্র ১৩ বছর বয়সে চোখের সামনে পিতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তৎকালীন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান ও বড় ভাই জালালউদ্দীনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল। সেই থেকে শুরু রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি। বুকে লালন করে লেখাপড়া জীবনে ১৯৮৯ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে ছাত্র সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়। ১৯৮৭ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮৮ সালে তালা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে একই পদে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে তালা উপজেলা মহাজোটের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৯সালে আবারও আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং সেই থেকে অদ্যবদি সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছে।১৯৮৬, ৯১, ২০০০’র উপনির্বাচন ও ২০০১’র জাতীয় নির্বাচন সহ সকল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালের উপনির্বাচনে, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ও ২০০৬ সালের ১/১১ স্থগিত নির্বাচনে তিনি তালা কলারোয়া আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও ২০১৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা (তালা-কলারোয়া)-১ আসন থেকে তাকে মনোনয়ন দেন।

দীর্ঘ ১২ দিন মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে ছিলেন তিনি। প্রতীক বরাদ্দের জন্য প্রার্থী ও জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছিল। হঠাৎ করে ১১ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তাকে ফ্যাক্স বার্তায় নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। যেহেতু তার মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়নি সেহেতু তালা- কলারোয়াবাসীসহ তৃনমুলে জনগন মনে করেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কান্ডারী হিসেবে মনোনীত করা হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তালা-কলারোয়া উপজেলার ২৪ টি ইউনিয়নের ২২৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে জাতীয় সংসদের ১০৫, তালা,পাটকেলঘাটা ও কলারোয়া যা ২ টি উপজেলা,১ টি পৌরসভা ও ৩ টি থানা।সাতক্ষীরা-১ আসনের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের অন্যতম কান্ডারী শেখ নুরুল ইসলামের নাম তৃণমুলে মুখে মুখে।এক বিশেষ জরিপে জানা গেছে, এই আসনের ৩০ ভাগ ভোটার ভাসমান। ভাসমান ভোটাররা প্রার্থীর যোগ্যতা, জাতীয় স্বার্থ, নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড ও স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে থাকেন। আ’লীগের অন্যান্য যারা এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চাচ্ছেন তারা বেশির ভাগই হাইব্রিড ও প্রবাসি এসে জুড়ে বসেছে বিল।

এতো মধ্য দলীয় হাইকমান্ড থেকে স্বচ্ছ,ক্লিন ইমেজে এ যাকে মনোনয়ন দিলে নৌকা বিজয় হবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এমন বার্তা পাওয়া গেছে। সে লক্ষে প্রার্থী বাচাইয়ে একাধিক জরিপ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে মাঠে। এবং গোপন মাঠ জরিপের কাজ স্বয়ং মনিটরিং করেছেন দলটির প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনেকে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তারা বলেন তৃণমুল মানুষের সাথে কোন সম্পর্ক নেই অনেকে প্রার্থীদের চেনে বছরের ২/১ একবার এসে প্রার্থী হয়ে কোন লাভ নেই। দলের স্বার্থে, উন্নয়নের সার্থে তালা কলারোয়া শেখ নুরুল ইসলামের বিকল্প নেই।

জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অনিত মূর্খাজী নিজ ইউনিয়ন মাগুরায় বিশাল কর্মি সভায় তিনি বলেন,আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তালা কলারোয়া আসন থেকে শেখ নুরুল ইসলামকে দেওয়ার জন্য মাননীয় নেত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন,বিগত ২০১৪ সালে জননেতা শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন ও প্রতিক বরাদ্ধ দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু জোটগত কারনে নেত্রীর সিদ্ধান্ত প্রতি অটল থেকে এ আসনটা শরিক দল ওয়ার্কাস পাটি দেওয়া হয়। তৃনমূলে একটাই দাবি আগামী নির্বাচনে ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা পরিছন্ন ব্যাক্তি শেখ নুরুল ইসলামকে আবারও এ আসনে মনোনয়ন দিয়ে তালা কলারোয়ার মানুষের ভাগ্যউন্নয়ে কাজ কাজ করবেন।

তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, তালা কলারোয়া আওয়ামীলীগের পরিছন্ন,ক্লীন ইমেজে ব্যক্তিত্ব ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছে জননেতা শেখ নুরুল ইসলাম। বিগত ২০১৪ সালে শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু জোটগত কারনে এআসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদকের সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকারে তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শহীদ পরিবারের সন্তান শেখ নুরুল ইসলাম জানান, মনোনয়ন পেলে নিবাচিত হয়ে এলাকার সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন সুখী সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে মাদক, দূর্নিতি, জুয়া বন্ধ করে আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করেন তিনি আরও বলেন, তালা কলারোয়া আসনের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত। তাদের ভাগ্যোন্নয়নই হবে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ। জীবনের ৬২ টি বছর পার করেছেন। আগামী বেচে থাকা দিনগুলি জনগণের সুখের জন্য সপে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন সাতক্ষীরা তালা-কলারোয়ার ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ