প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হলো নতুন দিগন্ত। সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ৪২ মিনিটে কাওলা প্রান্তরে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এরপর মোনাজাতে অংশ নেন। এখান থেকে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সফর করেন তিনি।

পরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশস্থলেও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকার দৃই সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর পরশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ মুহিবুল্লাহিল বাকী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। আশা করা হচ্ছে, নগর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করবে, স্বপ্ন পূরণ হবে দুর্ভোগহীন রাজপথের।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই এক্সপ্রেসওয়ের আপাতত প্রথম অংশ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানচলাচল করবে।

বিমানবন্দর কাওলা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। উড়াল সড়কে উড়ছে রঙিন পতাকা। নিচের সড়কের পাশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যানার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানচালকদের মাঝে। কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রাজধানীতে যানজটের যে চিরচেনা রুপ তা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায়। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে উত্তর দক্ষিণের দূরত্ব ঘুছিয়ে এক সহজ যোগসূত্র তৈরি হবে বলে আশা তাদের।

কাওলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিন বলেন, বিমানবন্দর সড়কটি ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। দেশের বাইরে থেকে বিদেশিরাসহ আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আসেন এই বিমানবন্দরে। এখান থেকে যদি তারা কোনও ঝুটঝামেলা ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যে সহজে চলে যেতে পারেন, তাহলে বিদেশিদের চোখে আমাদের দেশ নিয়ে যেমন ভালো ধারণা হবে, আবার রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও শান্তি পাবেন যে তাদের দেশে পাঠানো কষ্টের টাকায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ছবি: ফোকাস বাংলা)

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা উজ্জ্বল হাসান বলেন, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবশ্যই আমাদের জন্য একটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করি। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে গেলে নিচের রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা হবে। তখন সাধারণ যারা আছে তারা খুব অল্প সময়েই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে। এখন শুধু আমাদের বাস সার্ভিস গুলো ভালো করলেই আমরা খুশি হবো।

দূরত্ব কমবে, ভাড়াও কমবে এমনটা মন্তব্য করে রিয়াজুর ইসলাম নামে উবার চালক বলেন, রাস্তায় জ্যাম থাকলে ভাড়া বেশি দেখায়। আবার ভাড়া ঠিক করে গেলেও জ্যামের কারণে সব জায়গায় সব সময় যাওয়ার ইচ্ছা হয় না। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তখন জ্যাম থাকবে না, একটানে গেলে সময়ও কম লাগবে, তেলও কম খরচ হবে। তখন ভাড়া কিছু কম নিলেও সমস্যা নাই। তবে ওপরের টোলটা যদি যাত্রী-চালক উভয়ের দিক দিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয় তাহলে আমি মনে করি ভালো হবে।

প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হলো নতুন দিগন্ত। সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ৪২ মিনিটে কাওলা প্রান্তরে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন তিনি। এরপর মোনাজাতে অংশ নেন। এখান থেকে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সফর করেন তিনি।

পরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশস্থলেও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকার দৃই সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর পরশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ মুহিবুল্লাহিল বাকী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। আশা করা হচ্ছে, নগর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব করবে, স্বপ্ন পূরণ হবে দুর্ভোগহীন রাজপথের।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের এই এক্সপ্রেসওয়ের আপাতত প্রথম অংশ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানচলাচল করবে।

বিমানবন্দর কাওলা এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। উড়াল সড়কে উড়ছে রঙিন পতাকা। নিচের সড়কের পাশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যানার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন যানচালকদের মাঝে। কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রাজধানীতে যানজটের যে চিরচেনা রুপ তা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায়। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে উত্তর দক্ষিণের দূরত্ব ঘুছিয়ে এক সহজ যোগসূত্র তৈরি হবে বলে আশা তাদের।

কাওলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিন বলেন, বিমানবন্দর সড়কটি ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। দেশের বাইরে থেকে বিদেশিরাসহ আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আসেন এই বিমানবন্দরে। এখান থেকে যদি তারা কোনও ঝুটঝামেলা ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যে সহজে চলে যেতে পারেন, তাহলে বিদেশিদের চোখে আমাদের দেশ নিয়ে যেমন ভালো ধারণা হবে, আবার রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও শান্তি পাবেন যে তাদের দেশে পাঠানো কষ্টের টাকায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ছবি: ফোকাস বাংলা)ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (ছবি: ফোকাস বাংলা)

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা উজ্জ্বল হাসান বলেন, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবশ্যই আমাদের জন্য একটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করি। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে গেলে নিচের রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা হবে। তখন সাধারণ যারা আছে তারা খুব অল্প সময়েই এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে। এখন শুধু আমাদের বাস সার্ভিস গুলো ভালো করলেই আমরা খুশি হবো।

দূরত্ব কমবে, ভাড়াও কমবে এমনটা মন্তব্য করে রিয়াজুর ইসলাম নামে উবার চালক বলেন, রাস্তায় জ্যাম থাকলে ভাড়া বেশি দেখায়। আবার ভাড়া ঠিক করে গেলেও জ্যামের কারণে সব জায়গায় সব সময় যাওয়ার ইচ্ছা হয় না। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তখন জ্যাম থাকবে না, একটানে গেলে সময়ও কম লাগবে, তেলও কম খরচ হবে। তখন ভাড়া কিছু কম নিলেও সমস্যা নাই। তবে ওপরের টোলটা যদি যাত্রী-চালক উভয়ের দিক দিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয় তাহলে আমি মনে করি ভালো হবে।

Bangla Tribune

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ