আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় এক গরুকে পিটিয়ে জখম ও গরুর মালিককে পিটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী গ্রামে। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মধ্যস্থায় মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও হাজির হয়নি অভিযুক্ত পক্ষ মোক্তার হোসেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার হোসেন মোক্তাজুল বর্তমানে খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী গ্রামে বসবাস করছেন তার পরিবার নিয়ে। উক্ত মোক্তাজুলের ধানক্ষেত্রে ঔই এলাকার জাহাঙ্গীর সরদারের পুত্র মইনুদ্দীনের একটি গাভী গরু ক্ষেতে প্রবেশ করলে মোক্তার হোসেরে পুত্র হয়রত শীষ বেপরোয়া ভাবে গরুটিকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। মৃত প্রায় গরুটি একটি ২ মাসের একটি বাছুর ও রয়েছে। এঘটনায় গতকাল রবিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য মধ্যস্থায় একটি শালিশ মিমাংসার কথা বলে হাজির হয়নি মোক্তার হোসেন বলে জানান ইউপি সদস্য রামপদ সানা। এমনকি তাদের বাড়ীতে বসাবাসির জন্য ডাকতে গেলে মোক্তারের পুত্র শীষ ময়নুদ্দীন উপর আবারও বেপরোয়া ভাবে চড়া হয়ে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করতে গেলে কুদ্দস এর পুত্র আকাশ প্রতিবাদ করলে তাকে কালা দিয়ে খোজা মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে। এসময় আহত হয়েছেন মইনুদ্দীন ওহোসনেয়ারা। দীন মুজুর মইনুদ্দীন বলেন আমি ইটের ভাটা থেকে কাজ করে এসে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে এই গুরুটি ক্রয় করেছি। গুরুটি মরে গেলে আমার যে ক্ষতি হবে সেটি পুরন হওয়ার নয় আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। স্থানীয় আকবার সরদার জানান তারা এই এলাকায় এসে বসবাস করার পর থেকেই এলাকায় চুরি শুরু হয়েছে। শীষ নামে ছেলেটি কাউকে মান্য করে চলেনা। এমনটি একটি ভেড়া ও মাছ চুরি করে আটক ও হয়েছে। বর্তমানে এই এলাকায় চুরি বেড়ে চলেছে। স্থানীয় নেছার আলী অনিমেশ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান তারা এলাকায় আসার পর থেকে একের পর এক চুরির সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে আছে। তবে গরু মারধর করে রক্তাক্ত করার বিষয়টি সাংবাদিকের সাথে স্বীকার করেছেন মোক্তার হোসেন । এঘটনায় ভুক্তভোগিরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ