আশ্রাফ উজ- জামান রুবেল (তালা – সাতক্ষীরা) ::
সাতক্ষীরার তালায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা চোখে পড়ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
তালা সদর ও পাটকেলঘাটা সহ ছোট-বড় সকল বাজার গুলোতে জমে উঠছে ঈদ বাজার।
পুরুষের তুলনায় নারী ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি।
উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন বিপণি বিতানগুলো সকাল থেকেই ঈদ কেনাকাটা করতে ভীড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। জামা-কাপড়ের পসরা সাজিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। একসঙ্গে দুই উৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভীড় বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন অনেকেই। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে বেচাবিক্রি করতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট কাপড়ের দোকানগুলো। পছন্দের পন্য কিনতে পেরে
পারায় একদিকে যেমন খুশি ক্রেতারা তেমনি বেচাকেনা ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ‘তালা,পাটকেলঘাটা বাজারের কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, সিট কাপড়ের দোকান সহ কর্সমেটিকস’র দোকান গুলোতে কাস্টমারের উপচে পড়া ভীড় পাটকেলঘাটা বাজারের ভারতী বস্ত্র সম্ভারের মালিক তাপস সাধু বলেন, রোজার শুরুতে মানুষের আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কম। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে পুরোদমে কেনাবেচা শুরু হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অন্যবারের তুলনায় এবার সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি। ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যেই পছন্দসই কাপড়ই কিনছেন। এবার পাইকারি বাজারে কাপড়ের দাম বেশি বলেও জানান তিনি। দেশীয় শাড়ির মধ্যে সিল্ক, কাতান ও টাঙ্গাইলের শাড়ির চাহিদার পাশাপাশি গ্রাউন, থ্রি-পিচ ও বেবি সেট মেয়েদের পোশাকের চাহিদা এবার বেশি।
কাপড় ব্যাবসায়ী আামাজান এর মালিক মাহফুজুর রহমান বলেন- ‘অন্যবারের তুলনায় এবার অনেক বেচাকেনা ভালো।’ তিনি আরও জানান, এবারের ঈদে লেহাঙ্গা, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি থ্রিপিস,পানজাবী,শাট প্যান্ট ছোটদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
আল্লাহর দান বস্ত্রালয় এর মালিক ওহিদুজ্জামান জানান,মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বেড়েছে বেচাবিক্রি
সাধ্যের মধ্যে টুকিটাকি কেনাকাটা গুলো সেরে ফেলেছন অনেকেই এই মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকে রাত গভীর রাত অব্দি চলছে হরদম বেচাবিক্রি।
তালার সুপার মার্কেটের রাজ বস্ত্রালয়ের মালিক রাজু আহম্মেদ রাজু জানান- ‘অন্যবারের তুলনায় নিত্য নতুন ডিজাইনের সম্ভার হয়েছে, বিশেষ করে মেয়েদের নতুন নতুন বোরকা,লেহেঙ্গা সহ অনেক সম্ভার হয়েছে ফলে বেচাকেনাও ভালো।
জুতা পট্টির মাসুদ জানান- ‘নিত্যনতুন মডেলের জুতার চাহিদা অনুযায়ী তারা কাস্টমার মন জয় করার মতো হরেক রকম ডিজাইনের জুতা নিয়ে এনেছে।
কাস্টমাররা জানান- ‘প্রচুর গরম ও রোজা রেখে কষ্ট হলেও কিনতে হচ্ছে পছন্দের কাপড়, জুতা, কসমেটিকসসহ ইত্যাদি। প্রিয়জনের মুখে হাসি ফুটাতে কেনাকাটা করছেন এ দোকান থেকে অন্যদোকানে। তবে কেনাকাটা করতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তামান্না জানান, দোকানের কাপড় পছন্দ হলেও দরদাম নিয়ে রয়েছে অনেক অভিযোগ । এজন্য ছুটতে হচ্ছে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে। তবে কোনকোন দোকানদাররা পছন্দের জিনিস গুলোতে সুযোগ বুঝে বেশি দাম নিচ্ছে ।
বাজারের দু’ধারের দোকান গুলো সহ সুপার মার্কেট
গুলোতে রয়েছে কাস্টমারের উপচে পড়া ভীড়।
এদিকে ঈদের বেচাকেনাকে ঘিরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
সব মিলিয়ে ঈদের আগে আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ