মতিউর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

পাটকেলঘাটা কুমিরা বারাত গ্রামের ৪ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয় সেঁজুতি দাশ প্রভা। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা নিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয়। ৪/৫ বছর সুস্থ থাকলেও হঠাৎ ৯ বছর বয়সে আবার তার শরীরে ব্লাড ক্যানসার দেখা দিয়েছে। সেঁজুতি দাশ প্রভা পাটকেলঘাটা বারাত গ্রামের সদয় দাশের কন্যা। সদয় দাশ একজন এনজিও কর্মী।মেয়ে সেঁজুতি দাশ প্রভার চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে শেষ আশ্রয় সম্বল ভিটেমাটি ও খুইয়েছেন। সেঁজুতি দাশ প্রভার চিকিৎসার জন্য এখন প্রয়োজন ৩০-৪০ লক্ষ টাকা।কোন উপয় না পেয়ে সদয় তার মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। সদয় বলেন, ২০১৯ সালে একিউট লিম্ফোব্লাসটি লিউকেমিয়া নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয় সেঁজুতি। পরে সকালের সার্বিক সহায়তায় তাকে ভারতের ভেলোর সি,এম,সি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।সম্প্রতি সেঁজুতি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান,মেয়েটি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। এখন তাকে বাঁচাতে হলে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন(বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট) করা একান্ত জরুরি।যার ব্যয় বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।তাই সদয় তাঁর একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ