মো:রাব্বি
স্টাফ রিপোর্টার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুই মক্ষীরানী সহ তিন খদ্দেরকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের নোহালী গ্রামের সালেহা বেগমের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদরের বান্দিপাড়া গ্রামের জুই, বগুড়ার শানু বেগম, রানীশংকৈল উপজেলার মিরডাঙ্গী গ্রামের রেজাউলের ছেলে শাহিন আলম, ঠাকুরগাও সদরের ফেরশাডাঙ্গীর হামিদুলের ছেলে রাজ্জাক এবং একই গ্রামের আজিজুরের ছেলে শামিম।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ শেখ জানান, নোহালী গ্রামের সালেহার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে ঐ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বাড়ির ভিতরে বিভিন্ন কক্ষ থেকে তিন খদ্দের ও দুই মক্ষীরানীকে আটক করা হয়। তবে সালেহা পালিয়ে যায়। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ভীড় জমায়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির, সহকারী পুলিশ সুপার পীরগঞ্জ সার্কেল মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, সালেহা বেগম এক সময় রাজধানী ঢাকায় অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল। কয়েক বছর আগে পীরগঞ্জে এসে পৌর শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। বর্তমানে নোহালী গ্রামে নিজে বাড়ি করে সেই বাড়িতে ছোট ছোট কক্ষ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এলাকার লোকজন বাধা দিলে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাহেলা ও তার লোকজন। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলেন এলাকাবাসি। এতে বে পরোয়া হয়ে উঠে সালেহা। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন নেতা ও কতিপয় জনপ্রতিনিধিকে হাত করে সালেহা তার এ অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি পীরগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে আব্দুল লতিফ শেখ বদলি হয়ে আসেন এবং তিনি সেখানে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশের এমন অভিযানে খুশি এলাকাবাসি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ