মোঃ আরশাদ আলী সাতক্ষীরা থেকে।
মেয়েটির নাম লামিয়া সুলতানা মিম, বয়স১০ বছর। সে বালিথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং তার রোল-১।সে বালিথা গ্রামের ড্রাইভার আ: রাজ্জাকের ২মেয়ের মধ্যে সে বড়।ছেলে না হওয়াতে কোন আক্ষেপ নেই তার পিতা মাতার বরং পুত্র স্নেহেই বড় করতে চান ২কন্যা সন্তানকে।শখের বসে পরম স্নেহে মেয়ে লামিয়া সুলতানা মিমকে বাইক চালানো শিখিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে বাইক চালানোর সব কলাকৌশল বেশ রপ্ত করে ফেলেছে লামিয়া সুলতানা মিম। কিন্তু বাইকে বসে মাটি পর্যন্ত পা লম্বা না হওয়ায় মাঝে মাঝে তাকে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।কিন্তু তার পিতা আ:রাজ্জাক সবসময় ছায়ার মতো তাকে আগলে রাখে।১৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ছিল ফিংড়ী ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২৪ এর বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। স্বাগতিক গোবরদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করে। উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে লামিয়া সুলতানা মিম বাড়ি বালিথা থেকে তার পিতা আ:রাজ্জাকের সাথে গোবরদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দীর্ঘ ১২কি:মি: রাস্তা বাইক চালিয়ে যায়।ছোট্ট মেয়েটি অসাধারণ দক্ষতার সাথে যানজটপূর্ন পিচঢালা রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় উৎসুক পথচারীরা অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। বাইক চালিয়ে প্রতিযোগিতাস্থল গোবরদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পৌছালে উপস্থিত অতিথিসহ সকল শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা মুর্হমুর্হ করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান।অনুষ্ঠান শেষে সে আবারও বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।এত অল্প বয়সে বাইক চালানো প্রসঙ্গে লামিয়া সুলতানা মিম ভবিষ্যতে লেখা পড়ার পাশাপাশি যশোরের লেডি বাইকার মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত স্বপ্না খাতুন আপার মত হতে চাই। সে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ