নেই খাবার, নেই পরনের কাপড়, নেই মাথার উপর ছায়া। ঘরবাড়ির সাথে পুড়ে গেছে মনোবল। যেন সবকিছুই পুড়ে ছাই। চরম ভয় ও উৎকণ্ঠার মধ্যে এখনো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন  করছে যশোর অভয়নগরের  সুন্দলী ইউনিয়নের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়েদা গ্রামের পরিবার গুলি।

ঘটনাটি ২২মে সন্ধ্যার, তার পর থেকেই ভুক্তভোগী  পরিবারগুলোর চলছে ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টা। মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে তাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে নানা ব্যাক্তি সংগঠন, রাষ্ট্র। তেমনি ভাবে তাদের পাশে দাড়ান “মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত কমিটি”, মশিয়াহাটী, যশোর।

৬জুন, শুক্রবার, বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৮ টি পরিবার সহ, ক্ষতিগ্রস্ত আরও ৩ টি পরিবারের মাঝে সংগৃহীত অর্থ বিতরণ করা হয়।  উক্ত বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মহানুভব দাতাগণ, অর্থ সংগ্রহের সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটির সকল সদস্য এবং এলাকার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
উক্ত বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।      বক্তাগণ ২২ মে’র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে রাষ্ট্র সহ সকল স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক সংগঠনগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সাথে সাথে ওইদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মহোৎসবে বাইরে থেকে আমন্ত্রিত মতুয়া ভক্তদের বাদ্যযন্ত্র, যেমন : হারমোনিয়াম, ডঙ্কা, কাশর, মন্দিরা, মৃদঙ্গ সহ নিশান, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল  ইত্যাদি পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ; সেই ক্ষতিগুলোও যেকোনোভাবে পূরণ করার লক্ষ্যে সকলের সুদৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়।
মানুষের মানবিকতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি, সবার সামান্য সহযোগিতায় তাঁরা ফিরে পেতে পারে তাদের আপন আবাস। সর্বস্তরের মানুষের সাড়া এবং সহমর্মিতায় ক্ষতিগ্রস্তরা ধীরে ধীরে তাদের  মনোবল ফিরে পেতে শুরু করেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে অতিদ্রুত ভুক্তভোগীগণ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারবে বলে বক্তাগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ